আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ভারতে এবার এক স্বঘোষিত বাবার আধ্যাত্মিক বিশ্ববিদ্যালয় (আশ্রম) থেকে যৌন নিপীড়নের শিকার ৪০ জন নাবালিকাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। দিল্লির রোহিনীতে এ ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার রাতে রোহিনীর ওই আশ্রমে পুলিশ নিয়ে অভিযান চালায় দিল্লির মহিলা কমিশন। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
খবরে বলা হয়, অনেক দিন ধরেই অভিযোগ আসছিল ওই আশ্রমে নাবালিকা ও নারীদের আটকে রেখে যৌন নিপীড়ন করছেন আশ্রমেরই স্বঘোষিত বাবা বীরেন্দ্র দেব দীক্ষিত।
অভিভাবকরা এ বিষয়ে অভিযোগ জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা রুজু করেন। অভিযোগ পাওয়ার পরই কয়েকজন আইনজীবী এবং দিল্লি মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়ালকে নিয়ে একটি প্যানেল গঠন করে বিষয়টি তদন্ত করতে বলে আদালত।
আশ্রমের নাম ‘আধ্যাত্মিক বিশ্ববিদ্যালয়’। বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ নিয়ে ওই আশ্রমে হানা দেন দিল্লির মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল ও কমিশনের সদস্যরা। সেখান থেকে ওই নাবালিকাদের উদ্ধার করা হয়।
গত মঙ্গলবার ওই আশ্রমে প্রথম অভিযান চালায় দিল্লি পুলিশের একটি দল। ওই সময় আশ্রমের বিভিন্ন জায়গায় ওষুধ ও ইঞ্জেকশনের সিরিঞ্জ পড়ে থাকতে দেখেন তদন্তকারীরা।
আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, আশ্রমের ওই মেয়েদেরকে তাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে দেয়া হতো না। শুধু তাই নয়, এমন একটি ঘরের মধ্যে তাদের আটকে রাখা হতো যেখানে সূর্যের আলোও ঢুকে না।
অভিভাবকদের দাবি, বীরেন্দ্র দীক্ষিত তাদের বুঝিয়ে মেয়েদের আশ্রমে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করতেন। স্বেচ্ছায় মেয়েদের তার হাতে তুলে দেয়া হলো- স্ট্যাম্প পেপারে এভাবেই অভিভাবকদের থেকে স্বাক্ষর নেয়া হতো।
আশ্রমেই এসব মেয়েদের যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণ করা হতো বলেও অভিযোগ করেছেন অভিভাবকরা। আশ্রমের প্রতিবেশীরাও একই অভিযোগ করেছেন।
এক প্রতিবেশীর দাবি, মেয়েদের আশ্রমে আটকে রেখে যৌনকর্মী হিসেবে প্রশিক্ষণ দেয়া হতো। আশ্রমের মেয়েদের প্রায়ই বাসে করে আশ্রমের বাইরে নিয়ে যাওয়ার কথাও জানিয়েছেন আরেকজন।
J/N.

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে