আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির নেতিবাচক ও অপরাজনীতি দেশের চলমান উন্নয়ন ধারাই শুধু বাধাগ্রস্ত হচ্ছে না,ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্রের বিকাশ।
আজ সকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির নব-নির্বাচিত সদস্যদের পরিচিতি ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ আলোচনা সভায় যুক্ত হন।
জন্মলগ্ন থেকে বিএনপি গণতন্ত্রের মুখোশের আড়ালে গণতন্ত্র হত্যা,মানবাধিকার লঙ্ঘন করে আসছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধাণ সম্পাদক বলেন, ‘তারা এখনও সেই ধারাবাহিকতাই চর্চা করে চলেছে। বিএনপির নেতিবাচক ও অপরাজনী দেশের চলমান উন্নয়ন ধারাই শুধু বাধাগ্রস্ত হচ্ছে না, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্রের বিকাশ।’
তিনি বলেন, জনগণ আশা করেছিলো নির্বাচন ও আন্দোলনে ধারাবাহিক ব্যর্থতার পর বিএনপি স্বাধীনতা বিরোধী উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে তোষণ ও পোষণ ত্যাগ করবে, কিন্তু তারা তা না করে উল্টো গাঁটছড়া বেঁধে আছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাধীনতা বিরোধীদের সাথে সখ্যতা রেখে স্বাধীনতা সুবর্ণ জয়ন্তী পালন মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধের সাথে রসিকতা আর তামাশা ছাড়া কিছু নয়।
বিএনপি’র আন্দোলন, সমাবেশ, মিছিল, মানববন্ধন মানেই হচ্ছে সহিংসতা আর সন্ত্রাস উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনগণ তাদের কর্মসূচিতে এখন ভীত সন্ত্রস্ত। বিএনপি’র কর্মসূচি ঘোষণা করলে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরাও বাস পোড়ানোর ভয়ে বন্ধ করে দেয় অথচ বিএনপি দায় চাপায় সরকারের উপর।
তিনি বলেন, আন্দোলন এবং নির্বাচনে ধারাবাহিক ব্যর্থতার পর বিএনপি এখন পুলিশকে প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করিয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশের জনগণই বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা বানিয়েছেন আর শেখ হাসিনাকে করেছেন বিশ্বের সেরা তিনজনের একজন সেরা রাষ্ট্রপ্রধান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ করতে বিদ্রোহী প্রার্থীদের ছাড় দেওয়া হচ্ছে, -এবিষয়ে গণমাধ্যমে যে সংবাদ প্রচার হয়েছে, তা সত্য নয়। আওয়ামী লীগ এখন পর্যন্ত এধরনের কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি, এমনকি আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী কোন সভায়ও এধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
বিএনপি ইউপি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার প্রকাশ্য ঘোষণা দেওয়ার পরও স্থানীয় ভাবে তাদের দল সমর্থিত প্রার্থীদের প্রস্তুতি নেওয়ার কথাও শোনা যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ প্রান্তে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির সদস্য সচিব সুজিত রায় নন্দী, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা প্রমুখ।
এর আগে ধানমন্ডির ঐতিহাসিক ৩২ নম্বরে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির নবনির্বাচিত সদস্যগণ।
BSSN