বিডি নীয়ালা নিউজ(৬জানুয়ারি১৬)- অনলাইন প্রতিবেদনঃ কর্মব্যস্ত শহুরে জীবনে যদি প্রকৃতির একটু সান্নিধ্য পাওয়া যায় তবে জীবনের পিয়ানোটা টুং টাং করে বেজে উঠে। মনের সাধ ও আভিজাত্য বাড়ানোর জন্য ঘরের ভেতর রাখা দামি আর সখের জিনিসগুলো শোভা বাড়ায়। তবে সৌন্দর্য বাড়াতে অনেকেই ঘরের কোনে, বেলকনিতে, বারান্দায় এমনকি ড্রয়িং রুমে পাতাবাহার গাছ রাখেন। কিন্তু এসব পাতাবাহারের মধ্যে এমন অনেক গাছ আছে যা মানুষের মৃত্যুর কারণ পর্যন্ত হতে পারে। আর এমনই একটি গাছ বাংলাদেশেও সৌখিন বৃক্ষপ্রেমিকদের ঘরে ঘরে ঠাঁই পেয়েছে।
যে গাছটির ছবি দেখছেন, তার পোশাকি নাম হলো উরবভভবহনধপযরধ এবং অফিস আদালতে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বারান্দা বা করিডোরে, এমনকি বাসাবাড়ির বারান্দাতেও একে দেখা যায়। সুন্দর এই গাছটি যে আমাদের কতটা তি করতে সম তা আমরা কেউই জানি না। এই গাছটির একটি পাতা আপনাকে অসুস্থ করে দিতে পারে। এমনকি মৃত্যুও ঘটাতে পারে। শিশুদের বেলায় তো এটি ভয়াবহ ঝুঁকিপূর্ণ। তাই বাসায় ছোট শিশু থাকলে অবশ্যই সাবধান হওয়া প্রয়োজন। কৃষি বিজ্ঞানীদের মতে, এই গাছের পাতায় থাকে ক্যালসিয়াম অক্সালেট (পধষপরঁস ড়ীধষধঃব) নামের এক উপাদান, যা মানুষের কিংবা বাসার পোষা প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর।
একজন অভিভাবক জানান, যে বাড়িতে ছোট বাচ্চা আছে সেখানে এ গাছ না রাখা উচিত। কারণ তার ৩ বছর বয়সী কন্যাশিশু ভুল করে এই গাছের একটি পাতা গিলে ফেলে। এতে তার জিহ্বা ফুলে যায় এবং তার মৃত্যু ঘটে।
উরবভভবহনধপযরধ খুব সুন্দর একটি পাতাবাহার। তাই অনেকেই এটাকে বাসায় রেখে সার-পানি দিয়ে লালন করে। হয়ত ওই বৃক্ষপ্রেমিক সৌখিন লোকটি জানেনই না যে, তিনি দুধ-কলা দিয়ে কালসাপ পুষছেন। তাই এই গাছকে বাড়িতে রাখা তো উচিতই না, আর রাখলেও শিশুরা যাতে এর কাছে যেতে না পারে সে ব্যবস্থা করা উচিত। এর প্রভাব এতই খারাপ যে, এর যে কোনো অংশ খাওয়ার এক মিনিটের মাথায় একটি শিশুর মৃত্যু হতে পারে। প্রাপ্তবয়স্কদের মৃত্যুু হতে পারে ১৫ মিনিটের মাঝে। এমনকি এই গাছ হাত দিয়ে ধরলে এবং সেই হাত চোখে গেলে অন্ধত্বের সম্ভাবনা থাকে।
এই গাছ যদি আপনার ঘর বা প্রতিষ্ঠান থেকে সরাতে না চান বা সরানো সম্ভব নাও হয়, তাহলে এর চারপাশে বেড়া অথবা গ্রিল দিয়ে রাখুন যাতে বাচ্চারা এর পাতার নাগাল না পায়। এতে দুর্ঘটনা ঠেকানো সম্ভব হবে।
-মো. আব্দুর রহমান, বাকৃবি: