২০২১-এ কোপা আমেরিকা দিয়ে ২৯ বছরের শিরোপাখরা কাটে আর্জেন্টিনার। লিওনেল মেসির আন্তর্জাতিক শিরোপার জন্য আক্ষেপ দূর হয় তাতে। আবার বছর না ঘুরতেই শিরোপার স্বাদ পেয়েছে আলবিসেলেস্তেরা। ‘কনমেবল-উয়েফা কাপ অফ চ্যাম্পিয়ন্স’ তথা ‘লা ফিনালিসিমা’তে ইতালিকে ৩-০ গোলে হারিয়ে আরেকটি শিরোপা ঘরে তুলেছে মেসি-মারিয়ারা। বিশ্বকাপের ঠিক আগে এমন পারফরম্যান্স দেখে আশাবাদী আকাশি-সাদার সমর্থকরা। তবে উচ্ছ্বাসে গা না ভাসিয়ে সবাইকে শান্ত থাকতে বলেছেন কোচ লিওনেল স্কলানি।
জাদুকরি এক রাত কাটিয়েছে আর্জেন্টিনা। ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইতালির জালে গুনে গুনে ৩ গোল দিয়েছে মার্টিনেজ-মারিয়া-দিবালারা। গোল না পেলেও দারুণ পারফরম্যান্সে ম্যাচসেরার পুরস্কার বাগিয়ে নিয়েছেন অধিনায়ক লিওনেল মেসি।
ওয়েম্বলিতে লাউতারো মার্টিনেজ ও ডি মারিয়ার গোলে প্রথমার্ধেই ২-০ গোলে এগিয়ে যায় আলবিসেলেস্তেরা। লাতিন ছন্দের দৃষ্টিনন্দন ফুটবলে দর্শকদের মুগ্ধতা বজায় থাকে দ্বিতীয়ার্ধেও। একচেটিয়া ফুটবল খেলা আর্জেন্টিনা ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে পায় আরও একটি গোল। পাওলো দিবালা বদলি হিসেবে নেমে করেন গোলটি।
মেসি-মারিয়াদের এমন পারফরম্যান্সে কাতার বিশ্বকাপে আশায় বুক বাঁধছেন সমর্থকরা। ২০১৪ সালে শিরোপাটা ছুঁতে ছুঁতেও আর ছোঁয়া হয়নি। আট বছর পর অজেয় এক দলে পরিণত হওয়া আর্জেন্টিনা পারবে বলেই বিশ্বাস কোচ স্কলানির। কিন্তু তার আগে সাফল্যের ঢেঁকুর তুলতে গিয়ে খেলোয়াড়দের মধ্যে যেন গাছাড়া ভাব না আসে সেদিকেও খেয়াল রাখতে চান আর্জেন্টিনাকে জোড়া শিরোপা জেতানো কোচ।
সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে স্কলানি বলেন, ‘আমি চাই দলটা এভাবেই থাকুক। যখন আমরা একত্র হই, যেন আমরা এইভাবেই খেলতে থাকি। তবে, বিশ্বকাপ অন্য কিছু। আমরা যদি মনে করি সবকিছু হয়ে গেছে তাহলে আমাদের বড় ভুল হবে। বিশ্বকাপ সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়, চাপ একেবারেই অন্যরকম এবং আমাদের এটার মুখোমুখি হতে হবে।’
তবে দল যেভাবে খেলেছে তাতে সন্তুষ্ট কোচ, ‘ফলাফলের বাইরেও দলটির ত্যাগ, সংগ্রাম এবং হার না মানা মনোভাব খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যা খুঁজছি তা অন্য কিছু; কার্যকারিতা। কখনো কখনো আপনাকে কষ্ট পেতে হয়, আপনি কষ্ট পাবেন, কিন্তু আমরা জানি আমরা কী খুঁজছি। তারা প্রথমার্ধে মাঝেমধ্যেই আমাদের সমস্যায় ফেলেছে, তারা একটি দুর্দান্ত দল কিন্তু ফুটবলে এই জিনিসগুলো থাকে।’
তবে আত্মতুষ্টি আর সামান্য ভুলেই যে মুহূর্তেই সব বদলে যেতে পারে তাও বলছেন আলবিসেলেস্তে কোচ, ‘আমরা বিশ্বাস করি যে জয়ের আত্মবিশ্বাস আপনাকে অনেক কিছু থেকে মুক্তি দেয়। তবে এই সত্যটাও মানতে হবে, যে কোনো সময়ে, যে কোনো দলের সঙ্গে আমাদের দলটি আটকে যেতে পারে। সেখানেই আমাদের শক্তিশালী হতে হবে, যা নিয়ে আমি সবচেয়ে বেশি চিন্তিত।
SO/N