ডেস্ক রিপোর্ট : জন্মের পর প্রথম ছয় মাস শিশুকে অন্যকোনো খাবার ছাড়া শুধুমাত্র বুকের দুধ খাওয়ানোর পরামর্শ দেয়া হয়। এরপর যতদিন আপনার শিশু চায় ততদিন তাকে অন্যান্য খাবারের সাথে সাথে বুকের দুধ দেয়া চালিয়ে যান। বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনি শিশুর ২ বছর বয়স বা তারও বেশি বয়স পর্যন্ত তাকে বুকের দুধ দেয়া চালিয়ে যেতে পারেন।

শিশুকে যে কয়দিন বুকের দুধ দিবেন সে কয়দিনই আপনার ও শিশুর জন্য ভালো। কতদিন বুকের দুধ খাওয়াবেন তা আগেভাবে ঠিক করে নেয়ার দরকার নেই। অনেক মাই কাজে ফিরে গিয়ে বা আবার পড়াশোনা শুরু করার পরও শিশুকে বুকের দুধ খাইয়ে থাকেন।

বুকের দুধ দেয়ার সময় যথাযথ খাদ্যাভ্যাস বজায় রেখে এবং ব্যায়াম করে পর্যাপ্ত পরিমাণে ওজন কমাতে পারেন। প্রচুর খাওয়ার দরকার নেই।

শরীরের চাহিদার প্রতি খেয়াল রেখে এবং ক্ষুধা লাগলে খাওয়া যাবে। তবে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। প্রচুর শাক সবজি, ফলমূল, মাছ (সামুদ্রিক মাছ নয়), এবং উপকারি চর্বিযুক্ত খাবার খান। শিশু ঘন ঘন বুকের দুধ খেলেও আপনি বাড়তি ক্যালরির চাহিদা একটা কলা বা আপেল অথবা পিনাট বাটার দিয়ে এক স্লাইস রুটি খেয়েও ক্ষুদা মেটাতে পারেন।

যারা শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ান তারা সাধারণত যেসব মায়েরা শিশুকে বুকের দুধ দেন না তাদের চাইতে এক লিটার পানি বেশি খেতে পারে। তাই যখনই তেষ্টা পাবে তখনই পানি খান, এতেই আপনার পানির চাহিদা পূরণ হওয়ার কথা।

শিশুকে যতি দ্রুত সম্ভব বুকের দুধ দেয়া শুরু করুন, এমনকি যদি সে নাও খেতে চায় তাহলেও আপনার শরীর তার শরীরের সংস্পর্শে থাকলে জন্মের প্রথম কয়েক ঘন্টার মধ্যেই খাওয়ানোর অভ্যাস তৈরি করাটা সহজ হয়।

ঘন ঘন খাওয়ান-প্রতি ২-৩ ঘণ্টা পর পর। আপনার শিশু স্তন যত চুষবে দুধ তৈরির পরিমাণ তত বৃদ্ধি পাবে।

দুটি স্তন থেকেই শিশুকে দুধ খাওয়ান। শিশু যদি একটি স্তন থেকে দুধ খায়, অন্যটি থেকে খেতে না চায় তাহলে সেটির দুধ চেপে বের করে রেখে সংরক্ষণ করুন।

বুকের দুধ খাওয়ানোর রুটিনের ব্যতিক্রম করবেন না। যদি আপনি শিশুকে খাওয়াতে না পারেন তাহলে স্তন থেকে দুধ চেপে বের করে রাখুন, তাদে দুধ তৈরির পরিমাণ ঠিক থাকবে।

যেসব ওষুধের কারণে দুধ তৈরি হওয়া কমে যায় সেগুলো খাবেন না। কোন ওষুধ খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ করে নেবেন।

প/দ/ন


একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে