hasina

ডেস্ক রিপোর্টঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে জাতির শ্রেষ্ঠসন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেখানে কিছুক্ষণ নিরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে।
এ সময় মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের দুই মেয়র, তিন বাহিনীর প্রধান এবং সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
পরে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় দলের সিনিয়র নেতাকর্মীরা মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, নৌমন্ত্রী শাজাহান খান, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া, চিফ হুইপ এএসএম ফিরোজ, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোটেক ইউসুফ হোসেন হুমায়ূনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও সংসদ সদস্যগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাত করে তাদের খোঁজখবর নেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীর ধানমন্ডিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে তার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে কিছু সময় নিরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানী দখলদার বাহিনীর সদস্যরা তাদের স্থানীয় দোসরদের সহায়তায় শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, স্থপতি, প্রকৌশলী ও লেখকসহ দুই শতাধিক বুদ্ধিজীবীকে ধরে নিয়ে যায়।
পাকিস্তানী সৈন্যরা বুদ্ধিজীবীদেরকে ধরে মিরপুর, মোহাম্মদপুর, নাখালপাড়া, রাজারবাগসহ বিভিন্ন স্থানের পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর নির্যাতন কেন্দ্রে নিয়ে নির্যাতন করে তাদের ওপর গণহত্যা চালায়। এর মধ্যে রায়েরবার্জা ও মীরপুর উল্লেখযোগ্য।
এরপর থেকে এ দিনটি শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

বি/এস/এস/এন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে