2

বিডি নীয়ালা নিউজ(০৫ফেব্রুয়ারি ১৬)- মারুফ সরকার (সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি): সিরাজগঞ্জের বেলকুচি-এনায়েতপুরে তাঁত শিল্পে সমৃদ্ধ এলাকা হওয়ায় তাঁত শিল্পের সহযোগী প্রতিষ্ঠান সূতা প্রসেস মিল ও রং এর বর্জ্যরে কারণে নদী-নালা খাল-বিল ও পুকুরের পানি বেহালদশা হয়ে পরেছে। এছারা স্বাভাবিক জীবনযাপন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে।  নেই সরকারের নজদারি ইতিমধ্যেই বেলকুচি উপজেলার ওয়াপদা খাদসহ যমুনা নদীর শাখা নদীর পানি সূতা প্রসেস মিল ও সূতা রং এর বর্জ্য ফেলার কারণে তা এখন ব্যবহার অনপুযোগী হয়ে পরেছে। সেই সাথে এ অঞ্চলের ভূ-গর্ভস্থ পানি মারাত্মকভাবে দূষিত হবার কারণে সন্তান জন্মগ্রহন করছে প্রতিবন্ধী হয়ে। তাছাড়া স্থানীয় মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। দূষিত হচ্ছে নলকূপের পানি, এতে চর্ম রোগসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এলাকার মানুষ। সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে এ নিয়ে অভিযোগ দিলেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেনা এ এলাকার ভূক্তভোগীরা। পানির অপর নাম জীবন হলেও এ এলাকার মানুষের জন্য তা এখন মরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে এ সংকট থেকে উদ্ধার করবে এমনটাই প্রত্যাশা ভূক্তভোগীদের। বেলকুচি-এনায়েতপুরে নদী-নালা খাল-বিলসহ পুকুরে এক সময় বাহারী সব মাছ মিললেও এখন তা আর দেখা যায়না। গত কয়েক বছর ধরে এই ওয়াপদা খালের পাশ দিয়ে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি সূতা রং ও প্রসেস মিলের কারখানা। এসব কারখানার প্রচুর পরিমান বর্জ্য প্রতিদিন ফেলা হচ্ছে নদী-নালা খাল-বিলসহ পুকুরে। যা পরিশোধনের কোন ব্যবস্থা না করে ফেলা হচ্ছে এই সব খাদে। প্রতিদিন লাখ লাখ লিটার বর্জ্য (ক্যামিকেলের পানি) এ সব স্থানে ফেলার কারণে তা চলে যাচ্ছে সরাসরি যমুনা নদীতে। আর এতে দুষিত হয়ে পড়েছে নদীর পানিসহ সকল পানি। এলাকাবাসীর অভিযোগ প্রচুর পরিমান বর্জ্য ফেলার কারণে এখন এলাকার নলকূপেও রঙিন আর দূর্গন্ধযুক্ত দূষিত পানি উঠছে। যা দিয়ে রান্না করা তো দূরের কথা সাধারণ গৃহস্থালি কাজ করাও চলে না। রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে নষ্ট হচ্ছে এলাকার ফসলী জমি। অভিযোগ রয়েছে এখানকার অধিকাংশ প্রসেস মিলের নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। আর এতে করে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে সাধারণ মানুষ। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বেলকুচি সদরের ওয়াপদা খাদ, ক্ষিদমাটিয়া, তামাই, রান্ধুনীবাড়ী, চালা, মুকুন্দগাতী, শেরনগর, কামারপাড়া, চন্দনগাতী ও এনায়েতপুর থানা সদর, বেতিল, গোপালপুর, খুকনিসহ বিভিন্ন এলাকায় সূতা রং ও প্রসেস মিল রয়েছে। এসব এলাকায় বর্জ্যে দূষিত হচ্ছে পানি বাড়ছে রোগ বালাই। স্থানীয় অনেকেই বলেছেন, এসব কারখানার কোনোটিতেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই। কিছুকিছু মালিক কারখানার আশেপাশের লোকদের ম্যানেজ করে কারখানা পরিচালনা করছে। বগুড়া পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক আনিছুর রহমান কাজী জানায়, ইটিপি প্লান ছাড়া কোন প্রসেস মিলকে অনুমোদন দেয়া হয়না। যদি ইটিপি ছাড়া কেউ মিল পরিচালনা করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যাবে। সূতা প্রসেস মিলের মালিকরা বলেন, তাঁত শিল্পের জন্য সূতার প্রয়োজন। কিন্তু পুঁজির স্বল্পতার কারণে শোধনাগার বানানো যাচ্ছে না। সরকার উদ্যোগ নিলে ইটিপি প্লান তৈরি করা সম্ভব। সিরাজগঞ্জ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী তবিবুর রহমান তালুকদার জানান, পরিবেশ অধিদপ্তরের গাফিলতির কারণেই পানির এমন অবস্থা। তবে স্থানীয় সরকার পদক্ষেপ নিলে বড় পানি শোধনাগার করে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা যেতে পারে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে