বিডি নীয়ালা নিউজ(৯ই এপ্রিল১৬)-অনলাইন প্রতিবেদনঃ বাংলাদেশের ‘নাস্তিক’ ব্লগারদের রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়া দেশের মধ্যে সম্ভবত যুক্ত হতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ইতিমধ্যে জার্মানিতে বেশ কয়েকজন ব্লগার আশ্রয় পেয়েছেন। তারা ঢাকায় দূতাবাসগুলোর মাধ্যমে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে বসেছেন।
সম্প্রতি ‘ধর্মান্ধতা’র বিরুদ্ধে লেখা-লেখি করা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র নাজিমুদ্দিন খুনের পর এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার এই ইস্যুটি উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে উঠে আসে বাংলাদেশে ব্লগার হত্যা ও নিরাপত্তা হুমকিতে থাকা ব্লগারদের কথাও। যুক্তরাষ্ট্রে তাদের আশ্রয় দেয়ার গত দুই মাস ধরে আবেদন জানিয়ে আসছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন। ‘ইসলামি উগ্রবাদীদের’ হুমকির মুখে থাকা বাংলাদেশি লেখকদের জরুরি আশ্রয় দেয়ার জন্য গত বছরের ২১ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির কাছে চিঠি লেখে পেন আমেরিকান সেন্টারের নেতৃত্বে আটটি সংগঠনের একটি জোট। চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, রিপোর্টাস উইদাউট বর্ডারস এবং ফ্রিডম হাউজ।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই নাজিমুদ্দিনের পরিবারের প্রতি সহানুভূতি ব্যক্ত করে টোনার জানান, চরমপন্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশের প্রতি সহায়তা অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হতে পারে এমন লোকদের যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় দেয়া হবে কি না- এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা আসলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিষয়। আমার জানা মতে, নিরাপত্তা ঝুঁকিতে থাকা ব্লগারদের একটি অংশের ব্যাপারে বিষয়টি বিবেচনাধীন আছে।’
মানবাধিকার সংগঠনগুলোর আবেদনের প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানতে চাইলে টোনার বলেন, ‘আমি জানি না। আমাকে আসলে দেখতে হবে, কেউ এর সুযোগ নিচ্ছে কি না। এ ব্যাপারে এখনো স্পষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না।’
উল্লেখ্য, গত বুধবার দিবাগত রাত ৯টায় রাজধানীর সূত্রাপুর থানাধীন একরামপুর মোড়ে দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের আঘাত ও পিস্তলের গুলিতে নির্মমভাবে খুন হন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাজিমউদ্দিন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সান্ধ্যকালীন মাস্টার্সের বি সেকশনের ছাত্র ছিলেন। নাজিমুদ্দিনের গ্রামের বাড়ি সিলেটে।