biJZrk1

বিডি নীয়ালা নিউজ(২৪জানুয়ারি১৬)-স্বাস্থ ও চিকিৎসা প্রতিবেদনঃ গরম-গরম ফুলকপির বড়া খেতে কার না ভালো লাগে! তবে ফুলকপি কেবল খেতেই ভালো নয়, নানা পুষ্টিগুণেও সমৃদ্ধ। শীতের এই সবজি এখন বছরজুড়েই মিলছে বাজারে। গবেষণায় দেখা গেছে ফুলকপি মস্তিষ্ক ভালো রাখে, ক্যানসারের ঠেকাতে সহায়ক, ওজন কমায় এবং সর্দি-কাশিসহ নানা রোগ প্রতিরোধ করে।
প্রতি ১০০ গ্রাম ফুলকপিতে রয়েছে ২ দশমিক ৬ গ্রাম প্রোটিন, ৭ দশমিক ৫ গ্রাম শর্করা, ৪১ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ১ দশমিক ৫ মিলিগ্রাম লৌহ ও ৯১ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি। এতে রয়েছে প্রচুর খাদ্য আঁশ। এ ছাড়া থায়ামিন, রিবোফ্লোবিন, নিয়াসিন, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাসেরও ভালো উৎস এটি। বেশ ভালো পরিমাণে পাওয়া যায় ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। ফুলকপির বি, সি ও কে ভিটামিন আমাদের সর্দি, হাঁচি, কাশি, জ্বর-জ্বর ভাব, নাক দিয়ে পানি পড়ার সমস্যা দূর করে।
অকালে দাঁত লালচে হয়ে যাওয়া, দাঁতের মাড়ি দুর্বল হওয়া থেকে বাঁচায় এটি। এ ছাড়া ফুলকপিতে রয়েছে দাঁত ও মাড়ির উপকারী ক্যালসিয়াম ও ফ্লোরাইড। এতে ভিটামিন কে থাকায় রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। প্রচুর পরিমাণে লৌহ থাকায় এটি গর্ভবতী মায়ের স্বাস্থ্য, বাড়ন্ত শিশু ও অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রমী মানুষের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

ফুলকপি ক্যানসারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। ফুলকপির ভিটামিন বি ও কোলিন উপাদান মস্তিষ্ক ভালো রাখতে সহায়তা করে। গর্ভবতী মায়েরা নিয়মিত ফুলকপি খেলে নবজাতকের মস্তিষ্কের সম্পূর্ণ বিকাশ ঘটবে। যাঁরা শরীরে বাড়তি ওজন কমাতে চান, খাদ্যতালিকায় রাখুন কম ক্যালরিযুক্ত এবং উচ্চমাত্রার আঁশসমৃদ্ধ এই ফুলকপি। এ ছাড়া এটি চুল ভালো রাখে। ত্বকের সংক্রমণও প্রতিরোধ করে।

সতর্কতা: ফুলকপিতে রয়েছে আমিষ ও পটাশিয়াম। তাই যাঁরা কিডনি সমস্যায় আক্রান্ত, তাঁরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাবেন। এ ছাড়া এটি পিউরিনসমৃদ্ধ হওয়ায় যাঁরা গাউট বা গেঁটে বাতে ভুগছেন, তাঁরাও চিকিৎসক অথবা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে ফুলকপি খাবেন।

 

লেখক: প্রধান পুষ্টি কর্মকর্তা,

চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে