বিডি নীয়ালা নিউজ( ১৫ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ইং)- ডেস্ক রিপোর্টঃ মানুষের মন থেকে জঙ্গি আতঙ্ক কেটে গেছে বলে মন্তব্য করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি বলেন, ‘ঈদুল ফিতরের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর ছিল। এ কারণে এই ঈদে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।’ বৃহস্পতিবার সকালে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,‘আমরা জঙ্গি আতঙ্ক দূর করতে পেরেছি।এটি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সফলতা। বাংলাদেশের মানুষ যা চায় না, তা কখনও হয় না। এটি আজ প্রমাণিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘টঙ্গীর ঘটনাটি দুঃখজনক। যাদের গাফিলতিতে এ ঘটনা হয়েছে তারা কেউ ছাড় পাবে না।’
ঈদের ছুটির পর সচিবালয়ে আবার কর্মব্যস্ততা ফিরে এসেছে। তবে কর্মকর্তাদের উপস্থিতি একেবারে কম। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সচিবালয়ের কর্মকর্তা ছাড়াও মন্ত্রীরা উপস্থিত হয়েছেন। সচিবালয়ে সকাল থেকে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ , বেসরকারি বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন,সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বেসরকারি বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘এবছর ঈদ ভালো কেটেছে। জঙ্গি আতঙ্ক ছিল না। মানুষ নির্ভয়ে গ্রামে গেছে। যাতায়াতের চার মাধ্যম সড়ক, নৌ, বিমান ও রেলওয়ের মাধ্যমে যোগাযোগ আগের তুলনায় অনেক উন্নত হয়েছে। মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো হয়েছে।তাদের হাতে টাকা আছে। এ কারণে ঈদ উৎসব পালনের পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরে এবং দেশের বাইরে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে মানুষ ঘুরে বেড়িয়েছে। দেশের অভ্যন্তরের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ছিল উপচে পড়া ভিড়।আবার অনেকে দেশের বাইরেও ঘুরে বেড়াচ্ছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দেশের পর্যটন কেন্দ্রগুলোর অবকাঠামোগত উন্নয়ন আরও প্রয়োজন। এ ব্যাপারে সরকারের আরও পরিকল্পনা আছে।’
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘জঙ্গিবাদের কর্মকাণ্ড নিয়ে সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে। আমরা এ ব্যাপারে সোচ্চার আছি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে। সামনে আগের চেয়ে আরও বেশি মতবিনিময় সভা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যেসমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদ সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আছে, সেসব প্রতিষ্ঠানসহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে মনিটরিং বাড়ানো হয়েছে। এজন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ট্রাস্টি বোর্ডে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন,আর ইউজিসির একজন সদস্য রাখা হয়েছে। আগেও তাদের অন্তর্ভুক্তি ছিল। তবে এখন তাদেরকে দায়িত্বে আরও সক্রিয় থাকার জন্য বলা হয়েছে।
বা/ ট্রি