আন্তর্জাতিক রিপোর্টঃ যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন তার প্রতিদ্বন্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের জন্য হুমকি বলে উল্লেখ করেছেন। নির্বাচনে জয়ী না হলে ফলাফল মেনে নেয়া নিয়ে ট্রাম্পের কিছুটা রহস্য রেখে দেয়ার প্রেক্ষাপটে হিলারি এ হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেন।
স্থানীয় সময় বুধবার লাসভেগাসে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের তৃতীয় ও শেষ বিতর্কে ট্রাম্প নির্বাচনের ফল মেনে নেয়া নিয়ে কিছুটা রহস্য রেখে দেন। নির্বাচনের ফলাফল হিলারি ক্লিনটনের পক্ষে গেলে তিনি ফলাফল মেনে নেবেন কি না অনুষ্ঠানের সঞ্চালকের এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, নির্বাচনের ফল দেখেই সিদ্ধান্ত নেবেন।
ট্রাম্প বলেন, এ বিষয়ে কিছুটা রহস্য রাখতে চান তিনি। এখুনি সব বলে দিতে চান না। এই মন্তব্যের পরই আলোড়ন শুরু হয়।
পরে তিনি ‘সুস্পষ্ট’ ফল মেনে নেবেন বলে উল্লেখ করলেও চ্যালেঞ্জের বিষয়টি উড়িয়ে দেননি।
ওহাইও অঙ্গরাজ্যে সমর্থকদের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, জিতে গেলে ঐতিহাসিক এই নির্বাচনের ফল তিনি মেনে নেবেন। কিন্তু ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ হলে তিনি আইনি ব্যবস্থাও নিতে পারেন।
স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার ওহাইওর ক্লিভল্যান্ডে এক সমাবেশে হিলারি বলেন, ‘আমরা নেতৃত্ব ও একনায়কত্বের পার্থক্য বুঝি। আর শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয়টি আমাদের আলাদা বৈশিষ্ট্যমন্ডিত করার বিষয়গুলোর মধ্যে একটি।’
হিলারি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের ফল ট্রাম্প মেনে নেবেন কিনা তা জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি আমাদের গণতন্ত্রকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছেন।’
এর আগে নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তিনি বলেন, নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা মানে গণতন্ত্রকে হেয় করা।
তিনি বলেন, ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে জনগণের মনে সন্দেহের বীজ বুনে দেশের শত্রুদের হাতকে শক্তিশালী করেছেন। স্থানীয় সময় বুধবার রাতের শেষ বিতর্কে কোনো প্রমাণ ছাড়াই নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন ট্রাম্প। ওবামা বলেন, মার্কিন ইতিহাসে ট্রাম্প সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের প্রথম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী যিনি নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন। এটাকে হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই।
মার্কিন ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামাও ট্রাম্পের ভোট কারচুপির ফাঁদে পা না দিতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানান।
বি/এস/এস/এন