আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির আইনি অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং জবাবদিহিতা ও ন্যায়বিচারের প্রশ্নটি তুলে ধরে ‘ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিস’-এ আইনি প্রক্রিয়া প্রহণের লক্ষ্যে ওআইসি সর্বসম্মতভাবে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে।
দীর্ঘ আলাপ-আলোচনার ফলশ্রুতিতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির উপর সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ ও মানবাধিকার লংঘনের ঘটনায় জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণে ‘ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিস’-এর মাধ্যমে আইনি প্রক্রিয়া প্রহণের লক্ষ্যে এই প্রস্তাবটি গ্রহন করা হয়।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত ওআইসির ৪৬তম পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের শেষদিন গতকাল শনিবার তা গৃহীত হয়।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেনের নেতৃত্বে একটি উচ্চ-পর্যায়ের প্রতিনিধিদল এই সম্মেলনে যোগদান করে এবং বিশেষ কমিটির আলোচনায় অংশ নেয়। গতকাল ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।
উল্লেখ্য, একটি দশ-সদস্য বিশিষ্ট উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন মন্ত্রী পর্যায়ের কমিটির মাধ্যমে গাম্বিয়া এই প্রক্রিয়ার নেতৃত্ব দিয়েছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসের ১০ তারিখে গাম্বিয়ার বানজুলে এই কমিটির প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে শুরু হওয়া সামরিক অভিযানের কারনে সাত (০৭) লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহন করে। জাতিসংঘ এই সামরিক অভিযানকে ‘জাতিগত শুদ্ধি অভিযান’ এবং অন্যান্য মানবাধিকার গ্রুপ ‘গণহত্যা’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
B/S/S/N.