মারুফ সরকার, বিনোদন প্রতিনিধি: মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীন বাংলার ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। বিভিন্ন সময় চেষ্টা করা হয়েছে জাতীয় চেতনার অংশ হিসেবে এই অধ্যায়কে নিয়ে কাজ করার। বেশকিছু সিনেমাও ইতিমধ্যে নির্মিত হয়েছে। সে সিনেমাগুলোও এখন ১৬ কোটি মানুষের অহংকার। আর সে অহংকারের পালকে এবার যুক্ত হতে চলেছে ‘ওরা ৭জন’। উন্নত প্রযুক্তির সহায়তা এবং গতানুগতিক গল্পের আড়ালে নিখুঁত ইতিহাস আশ্রিত এক সিনেমা।
ইতিমধ্যে ভারত থেকে পোস্ট প্রডাকশনের কাজ শেষ করে ঈদুল আজহার আগে ‘ওরা ৭জন’ পূর্ণাঙ্গ সিনেমাটি নিয়ে দেশে ফিরেছেন এর পরিচালক ও অভিনেতা খিজির হায়াত খান। ডিসেম্বরে মুক্তির লক্ষ্য নিয়ে বুধবার সিনেমাটি সেন্সরবোর্ডে জমা দেন তিনি।
সেন্সর বোর্ডের সচিব মোমিনুল হক জীবন আজকালের খবরের কাছে এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি বলেন- কিছুক্ষণ আগেই আমি রিসিভ করেছি। সিনেমাটি সম্পর্কে ইতিমধ্যে গণমাধ্যমসূত্রে জেনেছি। সিনেমাটি ঘিরে অনেকের আগ্রহের কথাও জেনেছি। আশা করছি আগামী সপ্তাহের প্রথম দিকে সেন্সরবোর্ড সদস্যগণ সিনেমাটি দেখবেন।
এরই মধ্যে ঈদের দিন সন্ধ্যায় সিনেমাটির টিজার প্রকাশ করেছেন। এতে সর্বমহলে প্রশংসাও পাচ্ছে সিনেমাটি।
এ ব্যাপারে খিজির হায়াত খান বলেন, আগে আরো কয়েকটি সিনেমা নির্মাণ করেছি। কিন্তু এই সিনেমাটিতে আমার সর্বোচ্চ ইফোর্ট দিয়েছি। কোথাও কমতি রাখিনি। কারণ আমি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। ইতিহাসের হিরোরা যেন যথাযথ স্থান পায় সে ব্যাপারে ইতিহাস নিয়ে আমাকে অনেক পড়াশোনা করতে হয়েছে। এটা কোনো গল্প নয়, সত্য ঘটনার খণ্ডিত অংশ। যেখানে ঘটনাক্রমে ভারতীয় এক নারীও চলে আসে। আমি চেষ্টা করেছি। এখন কেবল অপেক্ষা সেন্সরের। আশা করছি সেন্সরবোর্ডের সূক্ষ্ম বিবেচনায় সিনেমাটি উৎড়ে যাবে। এমনটা হলে ডিসেম্বরে মুক্তি দেওয়া হবে সিনেমাটি।
সিনেমার গল্পে বিভিন্ন অঞ্চলের ভিন্ন ভিন্ন পেশার সাতজনকে দেখা যাবে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সুশৃংখল বাহিনীর অধীনে বিশেষ একটা অপারেশানে অংশ নিতে। সেই অপারেশান ঘিরেই গল্প আবর্তিত যা সত্য ঘটনা অবলম্বনে তুলে ধরেছেন খিজির হায়াত খান।
সাতজনের একজন অভিনেতা ও নির্মাতা খিজির হায়াত খান নিজেই। এছাড়াও ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেন-ইন্তেখাব দিনার, ইমতিয়াজ বর্ষণ, শাহরিয়ার ফেরদৌস সজীব, সাইফ খান, খালিদ মাহবুব তূর্য ও নাফিস আহমেদ। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে শিবা শানুকে দেখা যাবে।
গেল ২৭ জুন সিনেমাটির দীর্ঘ ৯ মাসের যাত্রা শেষ হলে কলকাতার সত্যজিৎ রায় ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউটে একটি কারিগরি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন এসকে মুভির চেয়ারম্যান অশোক ধানুকা।
ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রযোজনায় সিনেমাটির কাহিনী, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন খিজির হায়াত খান। সংগীতের দায়িত্বে ছিলেন নাজমুল আবেদীন আবির। এতে গান গেয়েছেন ব্যান্ড অসমাপ্ত। সিনেমাটোগ্রাফির দায়িত্বে মোহাম্মদ আরিফুজ্জামান।