ডেস্ক রিপোর্টঃ মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ ঘটনা আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের কল্যাণে প্রয়োজনীয় সব কিছু করতে তাঁর অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে ১৯৭১ সালে বীর বিক্রমে যুদ্ধ করে মুক্তিযোদ্ধারা আমাদেরকে একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ উপহার দিয়েছেন। …কাজেই আমরা মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের কল্যাণে প্রয়োজনীয় সব কিছুই করব।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০১৬ উপলক্ষে ঢাকা সেনানিবাসে বীর শ্রেষ্ঠগণের উত্তরাধিকার ও খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে একথা বলেন।
সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা দেন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এ কে এম মোজাম্মেল হক, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মুহাম্মাদ শফিউল হক, নৌবাহিনী প্রধান এ্যাডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ ও বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আবু এসরার এবং উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে ৭ বীরশ্রেষ্ঠ’র উত্তরাধিকার ও অন্যান্য খেতাবপ্রাপ্তগণের মাঝে পরিচয়পত্র, সম্মানীর চেক এবং শাল ও মোবাইল ট্যাবসহ উপহার বিতরণ করেন।
তিনি যুদ্ধ ও শান্তির সময় বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য সেনাবাহিনীর ৫ কর্মকর্তাকে বাহিনী পদক ও ওসমানী সেবা পদক প্রদান করেন।
প্রধানমন্ত্রী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, তিনি স্বজনহারাদের দুঃখ, বেদনা বোঝেন।
স্বজনহারাদের বেদনা বুকে ধারণ করেই এদেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির বীর সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক মর্যাদায় পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে এবং তাঁদের অবদানের সর্বোচ্চ স্বীকৃতি দিতে আমাদের সরকার নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের উত্তরাধিকারীদের জন্য বর্তমান সরকার উল্লেখযোগ্য অনেক সুযোগ-সুবিধার বাস্তবায়ন করেছে। অনেক প্রস্তাব ও প্রকল্প আমাদের সক্রিয় বিবেচনাধীন আছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক সম্মানী ভাতার পরিমাণ নয়শ’ টাকা থেকে পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি করে দশ হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভাতা ভোগীর সংখ্যা এক লাখ থেকে দুই লাখে উন্নীত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ৬৭৬ জন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা জানুয়ারি ২০১৬ সাল থেকে যথাক্রমে বীরশ্রেষ্ঠদের জন্য ত্রিশ হাজার টাকা, বীর উত্তমদের জন্য পঁচিশ হাজার টাকা, বীর বিক্রমদের জন্য বিশ হাজার টাকা এবং বীর প্রতীকদের জন্য পনের হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। বিভিন্ন শ্রেণীর যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারবর্গের মাসিক রাষ্ট্রীয় সম্মানী ভাতা সর্বনি¤œ আঠার হাজার টাকা হতে সর্বোচ্চ ত্রিশ হাজার টাকা পর্যন্ত হারে বৃদ্ধি করা হয়েছে। চলতি ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে শহীদ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ভাতা, চিকিৎসা এবং রেশন সামগ্রী বাবদ দুই হাজার চার শত সাতাশি কোটি পনের লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রবাহ মুক্তিযোদ্ধাদের পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে জাগ্রত করার লক্ষ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের মেধাবী সন্তান ও তাঁদের পরবর্তী প্রজন্মের লেখাপড়ায় সহায়তা ও উৎসাহ প্রদানের জন্য বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট ‘বঙ্গবন্ধু ছাত্র বৃত্তি’ চালু করেছে। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের উপর দেশের অভ্যন্তরে ‘পিএইচডি’ করার জন্য পূর্ণ বৃত্তি প্রদানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের কৃতি সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্বাসনের জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘ভূমিহীন ও অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বাসস্থান নির্মাণ’ প্রকল্পে ২২৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এ প্রকল্পটিতে ২,৯৭১টি বাসস্থান নির্মাণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে ২,৪৯৩টি ইউনিট নির্মাণের জন্য অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১,৭২২টি ইউনিটের নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। ৬৯৪টি ইউনিটের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।
‘জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবয়নাধীন রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি জেলায় মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ভবন নির্মাণ করা হবে। ইতোমধ্যে ৪৩টি জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন এবং হস্তান্তর হয়েছে।
তিনি বলেন, জুলাই ২০১৩ হতে মোট ১০৭৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪২২টি উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের কাজ হাতে নেয়া হয়েছে। প্রকল্পটির আওতায় ইতোমধ্যে ১৬১টি মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। ৬৯টি উপজেলায় নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। অবশিষ্ট ভবন সমূহের নির্মাণ শুরু করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের অগ্রহায়ণের এই সুন্দর সকালে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের উত্তরাধিকারীদের সান্নিধ্যে আসার সুযোগ পেয়ে আমি আনন্দিত। সরকার প্রধান হিসেবে আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং তাঁদের উত্তরাধিকারীদের কল্যাণার্থে যা কিছু প্রয়োজন তা করার জন্য আমি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করছি।
তিনি বলেন, আজ খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা এবং তাঁদের উত্তরাধিকারীদের সম্মাননা প্রদানের সুযোগ তৈরি করে দেয়ার জন্য আমি সশস্ত্র বাহিনী বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের এই মহান দিবসে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের উদ্যোগে খেতাবপ্রাপ্ত জীবিত সশস্ত্র বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে পরিচয়পত্র বিতরণ করতে পেরে আমি আনন্দিত। এই পরিচয়পত্রের মাধ্যমে আপনারা বাংলাদেশ রেলওয়েসহ আভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন এর ফেরী এবং বিআরটিসি’র বাসে বিনা ভাড়ায় ভ্রমণ, বাংলাদেশ বিমানের আন্তর্জাতিক রুটে বিনা ভাড়ায় বছরে একবার এবং পবিত্র হজ/ওমরাহ পালনের জন্য জীবদ্দশায় একবার ভ্রমণ এবং বিমান বন্দরসমূহে ভি.আই.পি লাউঞ্জসহ ফেরী পারাপারে ভি.আই.পি রুম ও কেবিন ব্যবহার ইত্যাদি ব্যবহারের সুযোগ পাবেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অভূতপূর্ব অবদান কৃতজ্ঞতার সাথে স¥রণ করা আমাদের জাতীয় দায়িত্ব। এ জন্য মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণের ব্যাপারে আমাদের সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা আধুনিক পদ্ধতিতে মুক্তিযোদ্ধাদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশের জন্য ডাটাবেইজ কর্মসূচি গ্রহণ করব।
এ ডাটাবেইজ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হলে একটি নির্ভুল মুক্তিযোদ্ধা তালিকা তৈরি করে জাতিকে উপহার দেওয়া সম্ভব হবে,বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার বর্হিবিশ্বের যে সকল বরেণ্য রাষ্ট্রনায়ক, রাজনীতিবিদ, দার্শনিক, শিল্পী-সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, বিশিষ্ট নাগরিক বাংলার মুক্তিযুদ্ধে অবদান রেখেছেন পর্যায়ক্রমে তাঁদের ‘বাংলাদেশ স্বাধীনতা সম্মাননা’, ‘বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা’ এবং ‘মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা’ প্রদান করার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ গত ১৬ সেপ্টে¤¦র ২০১৬ তারিখে কানাডার প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী পিয়েরে ট্রুডোকে উক্ত সম্মাননা প্রদান করা হয়। তাঁর পক্ষে কানাডার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর সন্তান জাষ্টিন ট্রুডো এ সম্মাননা গ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সময়ের আবর্তে অধিকাংশ মুক্তিযোদ্ধা আজ বয়সের ভারে ভারাক্রান্ত। সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপনকালে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে থাকা মুক্তিযোদ্ধাদের আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মান জানানোর ক্ষেত্রে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী যে উদ্যোগ প্রতিবছর নিচ্ছে তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। এ জন্য সশস্ত্র বাহিনীকে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। দুঃস্থ ও অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা এবং তাঁদের পরিবারের জন্য আর্থিক সহায়তা, পুনর্বাসন, চিকিৎসা সহায়তা প্রদান ও আবাসস্থলের সংস্কারসহ বিভিন্ন কল্যাণমুখী কাজ আমাদের সশস্ত্র বাহিনী ভবিষ্যতেও করে যাবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
আমাদের স্বাধীনতা রক্ষার সুমহান দায়িত্ব সশস্ত্র বাহিনীর উপর ন্যস্ত উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ পবিত্র দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি আমাদের দেশপ্রেমিক সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা, দেশের উন্নয়ন কার্যক্রম, অবকাঠামো নির্মাণ, আইন-শৃংখলা রক্ষা ইত্যাদি ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে আমাদের সরকার সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়ন, ভৌত ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও বিবিধ কল্যাণমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকারের অধীনে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের জন্য শান্তিকালীন সময়ে কৃতিত্বপূর্ণ কর্মকা-ের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৩-১৪ অর্থবছর থেকে শান্তিকালীন পদক প্রচলন করা হয়েছে, যা বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মনোবল বৃদ্ধির জন্য একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
পদকপ্রাপ্তদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ ২০১৫ সালের শান্তিকালীন পদকপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মধ্য থেকে ০৫ জন সদস্যকে পদকে ভূষিত করা হয়েছে। এবছর পদকপ্রাপ্ত সকল কর্মকর্তা ও অন্যান্য পদবীর সদস্যদের জন্য রইল আমার আন্তরিক অভিনন্দন।
তিনি বলেন, এই অসাধারণ কর্মতৎপরতার ধারাবাহিকতায় ভবিষ্যতেও দেশ মাতৃকার সার্বভৌমত্ব রক্ষাসহ জাতির যে কোন প্রয়োজনে সশস্ত্র বাহিনীর সকল সদস্য নিবেদিত থাকবেন এটাই আমার প্রত্যাশা। শুধু দেশেই নয়, বহির্বিশ্বেও আপনারা সততা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করবেন বলে আমার বিশ্বাস।
তাঁর সরকার দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিরতিহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে দেশের আর্থ-সামিজিক উন্নয়নের কিছু খন্ডচিত্র তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ফার্স্ট ট্রাক প্রকল্প গ্রহণ করেছি। গভীর সমুদ্রবন্দর, পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, মেট্রোরেল, আন্ত:দেশীয় রেল প্রকল্প এবং এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ও কর্ণফুলি নদীর তলদেশে দেশের প্রথম টানেল নির্মাণের কাজ এগিয়ে নেয়া হচ্ছে।
দেশের বাস্তবায়নাধীন অন্যতম মেগা প্রজেক্ট পদ্মা সেতু সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকল ষড়যন্ত্রকে মোকাবিলা করে আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করছি। ইতোমধ্যে পদ্মা সেতুর ৩২ ভাগ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, এ সকল প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে আমাদের অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে।
বি/এস/এস/এন