বিডি নীয়ালা নিউজ(১২ই মে১৬)-যশোর প্রতিনিধিঃ রিজেন্ট বোর্ড সর্বশেষ বসে ৪ মে ২০১৬। বোর্ড সভায় গ্রীষ্মকালীন ছুটি ১২ মে ’র পরিবর্তে ১৬ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।তবে শিক্ষা কার্যক্রম ও আবাসিক হল খোলার ব্যপারে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি বোর্ড সভায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে এইদিন রিজেন্ট বোর্ডের সভা বসে এবং কিছু সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। এতে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) মাস্টার্সেরশিক্ষার্থী নাসিরউদ্দিন বাদল ও নিরাপত্তা প্রহরী বদিউজ্জামান বাদলের স্থায়ী বহিষ্কারাদেশ বহাল রাখে বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ড।
যবিপ্রবি সহকারি পাবলিক রিলাসন অফিসার হায়াতুজ্জান মুকুল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করেন, এক বছরের জন্য বহিষ্কার দুই ছাত্র মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের কামরুজ্জামান কামাল ও জিইবিটি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের রাশিদুজ্জামান রাজনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এক বছরের জন্য বহিষ্কারের পরিবর্তে হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা অভিভাবকদের মুচলেকা দেওয়ারশর্তে এবং বিভাগের সুপারভাইজারের অনুমতি সাপেক্ষে একাডেমিক থিসিসের কার্যক্রম সম্পন্ন করতে এবং ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। তবে ছাত্রাবাস থেকে যে দুই ছাত্রকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তা রিজেন্ট বোর্ড বহাল রেখেছে.
অপরদিকে যবিপ্রবির সাধারন শিক্ষার্থীরের পক্ষে মাঠে নামছে আরও বেশকিছু বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংঘতি সমাবেশ,পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মানব বন্ধনের পরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় গত ৫ মে, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ওপ্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গত ৫মে, চিটাগাং বিশ্ববিদ্যালয় গত ৫ মে, হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গত ৫মে ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ গত ৫মে অর্থাৎ ৫মে একই দিনে দেশের বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর শিক্ষার্থীরা রাজপথে নেমে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশি হামলা ও লাঠিচার্জ, গ্রেপ্তার ওবহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করে। আরও প্রতিবাদ করবে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলে জানা গেছে। শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এভাবে সারাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় একে একে তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছে।
এর আগে গত ২৬ এপ্রিল শিক্ষার্থীদের আন্দলনে কিছু শিক্ষকের উপস্থিতিতে পুলিশ লাঠি চার্জ করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পূর্ব নির্ধারিত গ্রীষ্মকালীন ছুটি ২৬ মে এর পরিবর্তে ২৬ এপ্রিল আকস্মিক ছুটি ঘোষণা ও হল বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়।