বিডি নীয়ালা নিউজ(১৪ই আগস্ট ২০১৬ইং) গোলাপগঞ্জ (সিলেট)প্রতিনিধি আজিজ খানঃ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পবিত্র যোহরের নামাজ আদায় করে মসজিদ থেকে বের হওয়ার পর গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারালেন গোলাপগঞ্জের জাঙ্গালহাটা গ্রামের কাজী তারা মিয়া। বাংলাদেশী সময় আজ রোববার সকাল ৫টায় অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রের সময় দুপুর আড়াইটায় তিনি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন।
বিগত পাঁচ বছর পূর্বে নিজ ভাই কাজী মাসুক উদ্দিনের আবেদনের প্রেক্ষিতে কাজী তারা মিয়া (৭৫) স্ত্রী, ২ কন্যা ও ১ ছেলেসহ যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। পাঁচ ওয়াক্ত পাবন্দ নামাজি কাজী তারা মিয়া নিউয়র্কের ওজনপার্ক মসজিদে যোহরের নামাজ আদায় করে অন্যান্য মুসল্লিদের সঙ্গে বের হওয়ার সময় একদল মুসলিম বিদ্বেষী সন্ত্রাসী এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এতে কাজী তারা মিয়া ও মসজিদের ইমাম হবিগঞ্জ জেলার অধিবাসী মাওলানা আলাউদ্দিন আকঞ্জি গুলিবিদ্ধ হন। সন্ত্রাসীদের গুলিতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ইমাম আলাউদ্দিন আকঞ্জি। গুরুতর আহত অবস্থায় কাজী তারা মিয়াকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। বিভিন্ন মিডিয়ার প্রকাশ হওয়ায় সকাল ৭টার পূর্বেই সারা দুনিয়ায় সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে সিলেটের বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলের সাংবাদিকরা কাজী তারা মিয়ার বাড়ী গোলাপগঞ্জের লক্ষ্মীপাশা ইউনিয়নের জাঙ্গালহাটায় যান। সংবাদ পেয়ে সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল কবির ইকু, গোলাপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি, লক্ষণাবন্দ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নছিরুল হক শাহিন, গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম ফজলুল হক শিবলী, সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সেক্রেটারী, গোলাপগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি আব্দুল আহাদ, লক্ষ্মীপাশা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাহমুদ আহমদ, নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান কবির আহমদ মুসন, ইউপি সদস্য তারেক আহমদ, জামিল আহমদসহ গোলাপগঞ্জের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ কাজী তারা মিয়ার বাড়িতে গিয়ে আত্মীয়-স্বজনদের শান্তনা দেন।
জানা যায়, চার কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জনক কাজী তারা মিয়া গত ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারীতে দেশে এসে প্রতিবেশী লক্ষ্মীপাশা গ্রামের ইমরান হোসেন শাহিনের কাছে তৃতীয় কন্যার বিবাহ দেন। দেশে তার বিবাহিত দু’কন্যা রয়েছেন, যারা এখনও যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারেননি। এদিকে মিষ্টভাষী তারা মিয়ার মৃত্যুতে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। গ্রামের প্রতিটি ঘরে ঘরে চলছে শোকের মাতম।