আন্তর্জাতিক রিপোর্ট  : অবশেষে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বেরিয়ে যাওয়ার কথাটি নিশ্চিত করলো যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে গত জুন মাসে হোয়াইট হাউজে দেয়া এক ঘোষণায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছিলেন যে, তিনি প্যারিস চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নাম প্রত্যাহার করবেন।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেয়া এ সিদ্ধান্তের কথা জাতিসংঘকে জানিয়েও দেয়া হয়েছে।

নির্বাচনের আগে থেকেই জলবায়ু পরিবর্তনের ইস্যু নিয়ে সর্বজনগ্রাহ্য তত্ত্বটি নিয়ে সন্দেহের কথাটি নানাভাবে বলে আসছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

আর গত জুন মাসে তিনি যখন প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার ঘোষণা দেন, তখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বেশ নিন্দিত হন তিনি।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের যুক্তি, এই চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রকে ‘শাস্তি’ দিচ্ছে এবং লাখ লাখ মানুষকে চাকুরিচ্যুত করছে।

অবশেষে শুক্রবার এক ঘোষণায় জানানো হল, প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘকে জানিয়ে দিয়েছে বিশ্বের অন্যতম গ্রিন হাউজ নিঃসরণকারী এই দেশটি।

অবশ্য শুক্রবারের এই ঘোষণাটিকে প্রতীকী হিসেবে দেখা হচ্ছে, কারণ, কোন সদস্য দেশই ২০১৯ সালের ৪ঠা নভেম্বরের আগে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাবার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে পারবে না।

বৈশ্বিক উষ্ণতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্যারিস চুক্তিকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করা হয়।ছবির কপিরাইটREUTERS
Image captionবৈশ্বিক উষ্ণতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্যারিস চুক্তিকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করা হয়।

আর বেরিয়ে যাবার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে তারপর আরও এক বছর সময় লেগে যাবে।

অর্থাৎ ২০২০ সালের শেষভাগে আমেরিকা যখন পুরোপুরি প্যারিস চুক্তি থেকে বেরিয়ে যেতে সক্ষম হবে, ততদিনে দেশটিতে আরেকটি প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার পর কয়েক সপ্তাহ পেরিয়ে যাবে।

তখন যদি মি. ট্রাম্প ব্যতীত নতুন কোন ব্যক্তি দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন, তিনি আবার এই চুক্তিতে পুনরায় যুক্ত হবার সিদ্ধান্ত নিয়েও নিতে পারেন।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানাচ্ছে, তারা সব নিয়ম মেনেই এই চুক্তি থেকে বের হবে।

ফলে আসছে দিনগুলোতে এই চুক্তির যেসব বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, সেগুলোতেও তারা নিয়ম মেনে যোগ দেবে বলেই কথা।

বি/বি/সি/এন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে