বিডি নীয়ালা নিউজ( ১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ইং)- ডেস্ক রিপোর্টঃ উত্তরাঞ্চলের অন্যতম পশু চামড়ার আড়ত রংপুর নগরীর কামারপাড়া এলাকায় বিভিন্ন জেলা থেকে কোরবানির পশুর চামড়া আসতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে ৬০ ভাগ চামড়া আড়তে এসে পৌঁছেছে। কিন্তু লবণের অভাবে চামড়া সংরক্ষণ করতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ৬০০ টাকার লবণের বস্তা ১৪০০ টাকায় বিক্রি হলেও, এখন আর তাও পাওয়া যাচ্ছে না। লবণ সংকেট চামড়া সংরক্ষণের কাজও শুরু করা যাচ্ছে না। অন্যদিকে, মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীরা ট্যানারি মালিকদের বেঁধে দেওয়া দরের চেয়ে বেশি দামে চামড়া কিনে বিপাকে পড়ছেন। ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা দরে চামড়া কিনে আড়তে তাদের বিক্রি করতে হচ্ছে সর্ব্বোচ হাজার টাকা দরে।
চামড়া ব্যবসায়ীরা বলছেন, ‘ট্যানারি মালিকরা গত বছরের বকেয়া এখনও পরিশোধ করেনি। এবার লবণ সঙ্কটের কারণে একটা চামড়ায় লবণ দিতে ৩০০ টাকা খরচ পড়ে যাচ্ছে। এতে করে এবার অনেক টাকা লোকসান দিতে হবে।’
বুধবার সকালে নগরীর কামারপাড়া এলাকায় চামড়াপট্টি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন চামড়া আড়তের সামনে শত শত পশুর চামড়া ফেলে রাখা হয়েছে। সংরক্ষণ করার জন্য প্রয়োজনীয় লবণের অভাবে সেগুলো গুদামজাত করার কাজ শুরু করা যাচ্ছে না।
আড়ত মালিক মমতাজ উদ্দিন জানান, গতবছর যে লবণের বস্তা সর্ব্বোচ ৫০০ টাকা দরে তারা কিনেছেন এবার সেই লবণের বস্তা বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ টাকা দরে। আর একটি চামড়ায় লবণ দিয়ে সংরক্ষণ উপযোগী করতে খরচ পড়ছে ৩০০ টাকা। ফলে ট্যানারি মালিকদের বেঁধে দেওয়া দরে চামড়া কিনলেও লবণের দাম বেশি হওয়ায় তাদের এবার বিপুল পরিমান অর্থ লোকসান হবে। অন্যদিকে চামড়াও কিনতে হচ্ছে বেশি দামে। ফলে সব মিলিয়ে তাদের অবস্থা কাহিল হয়ে পড়েছে।
চামড়া ব্যবসায়ী সোলেমান বলেন, ‘লবণ দিয়ে চামড়া গোডাউনে ২/৩ মাস সংরক্ষণ করে রাখার পর তারা ট্যানারিতে চামড়া পাঠান। ফলে এই দীর্ঘসময় সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় লবণ দিতেই হয়। কিন্তু লবণের মূল্যবৃদ্ধির কারণে একদিকে যেমন খরচ বেড়েছে, অন্যদিকে ট্যানারি মালিকদের বেঁধে দেওয়া দরে চামড়া বিক্রি করতে গেলে তাদের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।’
অপর এক চামড়া ব্যবসায়ী সালাম অভিযোগ করে জানান, লবণ ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম লবণ সংকট সৃষ্টি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ গ্রহন করছে না।’
রংপুর চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি সানোয়ার হোসেন বলেন, ‘কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিকারী লবণ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আশা করি সরকার চামড়া ব্যবসায়ীদের কথা চিন্তা করে দ্রুত এ বিষয়টি সমাধান করবেন।’
বা/ ট্রি