সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে শিক্ষক কর্তৃক ৭ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পিতা আলাউদ্দীন মন্ডল রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত একটি অভিযোগ করেছেন। রায়গঞ্জ উপজেলার ঘুড়কা ইউনিয়নের ঘুড়কা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনাটি ঘটে।

লিখিত অভিযোগ ও এলাকা বাসী সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ অক্টোবর ৭ম শ্রেণীর ক্লাস চলাকালীন সময় ঐ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এ, কে, এম ফজলুল হক ভুক্তভোগী ছাত্রী ছদ্ম নাম ( মিলি) কে শ্লীলতাহানী করে এবং শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। এ সময় ঐ ছাত্রী বাধা দিলে তাকে ভয়ভীতি দেখায়। আজ (৬ নভেম্বর) বুধবার এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা আলাউদ্দিন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বারাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রী জানায়, ঐ শিক্ষক অনেক দিন হলো আমার শরীরে বিভিন্ন জায়গায় হাত দেয় এতে বাঁধা দিলে আমাকে ভয়ভীতি দেখায়। ঐ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন এক শিক্ষার্থী জানায় গত ২০১৪ সালে বিদ্যলয়ের এক ছাত্রীকে শ্রীলতাহানির অভিযোগে ভ্রাম্যমান আদালতে দন্ডপ্রাপ্ত হন শিক্ষক ফজলু সরকার।

সে সময় সহকারী শিক্ষক কে,এম ফজলুল হককে অপসারণ চেয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছিলেন এলাকাবাসী। সে ঘটনায় তখন বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল । সহকারী শিক্ষক ফজলু সরকার ঘুড়কা ইউনিয়নের চক গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত আসাদ সরকারের ছেলে। শিক্ষক কে,এম ফজলুল হককে অপসারণ ও দৃষ্টান্তমূল শাস্তির দাবি জানিয়ে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা উপজেলা পরিষদের সামনে বিক্ষোভ মিছিলও করে।

অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক কেএম ফজলুল হকের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলে মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক গকুল চন্দ্র জানান, এ ঘটনায় ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জানান, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে