কোন এক কালের দিগন্তে, যে পথে হেঁটে গিয়ে যার প্রণয়ে বন্দী হলে সুখ পাখিটাকে ধরার জন্য। যাকে দিনের পর দিন আগলে রাখছোবুকের বাম পাজরে। সেই তুমিটাকেই বলছি- প্রিয়তম, একটি বারের জন্য পিছন ফিরে তাকাও। মনে পড়ে -কোন এক প্রেয়সীর কথা, যার সাথে মিথ্যে ভালোবাসার অভিনয় করে কিছু মিথ্যে স্বপ্ন দেখিয়ে বিভোর করেই রাখলে। তোমার অবহেলায় সমাজ-সংসারের লাঞ্ছনা-গঞ্জনা পেয়ে পেয়ে জীবন আজ বিপর্যস্ত। কষ্টগুলো বুকের ভেতর ধূপের মতো জ্বলছে। এই বুক জুড়ে কেবলি শূন্যতা কেবলি না পাওয়ার অগ্নি যন্ত্রনা, ছাইচাপা ঘুমোট এই পৃথিবীতেআমি ভালো নেই। তবুও তোমার সুখময় জীবনে আমি হানা দেয়নি। হঠাৎ করে তুমি এসে দেখিয়ে গেলে-তোমার মাঝে ধারণ করা মনস্কামনা। বুঝিয়ে দিয়ে গেলে- আমার হৃদয়ের প্রচণ্ড দাবদাহে , তুমি আর কষ্ট অনুভব করো না। তোমার বুকের বাম পাজরে এখন আর আমার জন্য চিনচিন করে ব্যথা হয়না। তুমি ইচ্ছে করেই আমাকে দূরে ঠেলে দিয়ে , নতুন সাথীকে নিয়ে দিব্যি বেশ আছো। তোমার কি মনে পড়ে আমি একটি বার তোমাকে আমার চোখে চোখ রেখে কিছু জানতে চেয়েছিলাম, তুমি পারোনি আমার চোখে চোখ রেখে বলতে। সীমান্ত সেদিন যদি একটিবার ওই চোখে তাকাতে তাহলে দেখতে পেতে কতটা হৃদয় পোড়ানো রঙ ঢেলে ওই চোখে শুধু তোমারই পোট্রেটধারণ করে রেখেছিলাম। সেই যে প্রথম দেখেছিলাম তোমার মুঠোফোনে, কি এক অদ্ভুত শিল্পে সাজিয়ে ছিলে আমার প্রতিমা। কতটা দ্রুতই না মুছে ফেললে সেই প্রতিমা। বলোনা সীমান্ত কি করে পারলে আমার প্রতিমা মুছে দিয়ে অন্য প্রতিমা সাজাতে।আমি তো আজ অবধি চেষ্টা করে যাচ্ছি , কই পাচ্ছি না তো ভুলে থাকতে। একাকিত্বের সাথে যুদ্ধ করতে করতে আজ আমি ক্লান্ত । জীবনযুদ্ধে হেরে যাওয়াআমি এক পোড়খাওয়া মানবী। বলতে পারো এভাবে আর কতটা পথ-আমাকে একাই চলতে হবে। আমার যে গন্তব্য জানা নেই ।