las

বিডি নীয়ালা নিউজ(১৬ই মার্চ১৬)-অনলাইন প্রতিবেদনঃ লিবিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি প্রেক্ষাপটে নানাবিধ কারণে প্রতিনিয়ত দেশি-বিদেশি নাগরিক মারা যাচ্ছে। ফলে বিভিন্ন হাসপাতালের হিমঘরগুলোতে মরদেহ সংরক্ষণের স্থানের অপ্রতুলতা দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে লিবিয়ার বর্তমান পরিস্থিতির কারণে লোডশেডিং মারাত্মক আকার ধারণ করায় মরদেহ বেশি হিমঘরে সংরক্ষণ করা সম্ভাব হচ্ছে না। এমতবস্থায় লিবিয়ার পাবলিক প্রসিকিউশন দপ্তর বিভিন্ন হাসপাতালে সংরক্ষিত বিদেশী নাগরিকের মৃতদেহগুলো অতি স্বল্প সময়ে স্থানীয়ভাবে দাফনের জন্য নির্দেশ প্রদান করেছে। এক্ষেত্রে দূতাবাসের অনুমোদন গ্রহণ করা হচ্ছে না বা দূতাবাসকে অবহিত করা হচ্ছে না।

লিবিয়ায় মারা যাওয়া প্রবাসী শ্রমিকদের লাশ দ্রুত নিয়ে আসার ব্যাপারে নির্শেনা জারি করেছে দেশটির পাবলিক প্রসিকিউশন বিভাগ। হিমঘরগুলোতে মরদেহ সংরক্ষণের ‘ঠাঁই’ না থাকায় এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। আর তাই সেদেশে মৃত্যবরণকারী বাংলাদেশি শ্রমিকের লাশ দ্রুত নিয়ে আসার ব্যাপারে মতামত চেয়েছে লিবিয়াস্থ বাংলাদেশি দূতাবাস।

বর্তমানে লিবিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকের ৬টি মৃতদেহ আছে। যার মধ্যে দু’জনের মৃতদেহ দেশে প্রেরণ ও ১ জনের মৃতদেহ স্থানীয়ভাবে দাফনের ব্যাপারে মতামত পাওয়া গেছে। বাকি তিনজনের মতামতের জন্য সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলোকে দ্রুত যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর লিবিয়াতে মৃত্যবরণকারী বাংলাদেশি ডাক্তার মোহাম্মদ আলী রেজার মৃতদেহ পাঁচ মাস সংরক্ষণের পর কোনো প্রকার নোটিশ ছাড়াই লাশ দাফনের উদ্যেগ গ্রহণ করে। লাশ পরিবহনকারী কোম্পানি সূত্রে জানতে পেরে দূতাবাস হতে হিমঘর কৃর্তপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে এই নির্দেশনা জানতে পারে। আর তারা প্রসিকিউশনের সাম্প্রতিক নির্দেশনা বাস্তবায়নের কথা জানান। ফলে পরবর্তীতে আর কোনো মৃতদেহ আগের মতো দীর্ঘ সময় হিমঘরে সংরক্ষণ করা আর সম্ভব হবে না বলে জানা যায়।

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে