ডেস্ক রিপোর্টঃ উৎসবের প্রথম পরিবেশনা শুরু করলেন বিদুষী গিরিজা দেবি। তবে তার শুরুতে স্টেডিয়ামের দর্শকেরা দাড়িয়ে তাকে সম্মান জানালেন।
ঘড়ির কাটায় তখন রাত সাড়ে দশটা। দর্শকদের অনেকে এসে আসন নিয়েছেন। অনেকে ইস্ততত ঘোরাফেরা করছেন। রেবা রানী শাহা সপরিবারে এসেছেন। তিনি বলছিলেন এই ধরণের আয়োজন ক্লাসিকাল মিউজিকের প্রতি সবার একটা আগ্রহ তৈরি করেছে।
“প্রথম বছরে না হলেও দ্বিতীয় বছর থেকে আগ্রহ বেড়েছে বিশেষ করে তরুণদের মধ্য” বলছিলেন রেবা রানী শাহা।
২০১৫ সালে প্রথমবারের মত আয়োজিত হয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের এই উৎসব। এবারে নিয়ে পঞ্চমবারের মত হচ্ছে।
বলা হয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত একটা নির্দিষ্ট শ্রেণীর মানুষের মধ্যে জনপ্রিয়। সাধারণ মানুষ তেমন একটা আগ্রহ দেখান না। কিন্তু এই উৎসব কি সেই আগ্রহটা তৈরি করতে পেরেছে? চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা আইরিন সুলতানা বলছিলেন শাস্ত্রীয় সঙ্গীত না বুঝলেও মানুষের একটা মিলন-মেলায় পরিণত হয়েছে এই উৎসব।
একই মত পোষন করলেন উত্তরা থেকে আসা মো. রফিকুল ইসলাম। তিনি বলছিলেন ” এই উপলক্ষে যার সাথে বছরে এক বারেও দেখা হয় না, তার সাথে দেখা হয়, কথাবার্তা হয়, অনুষ্ঠান দেখা হয় বেশ ভালই লাগে”।
স্টেডিয়ামের বাইরে তখনো লম্বা লাইন। রাত যত গভীর হচ্ছে আস্তে আস্তে নির্দিষ্ট আসন পূর্ণ হয়ে, মানুষ জন জায়গা নিয়েছে গ্যালারিতে।
গোলাম হোসেন হাবিব বন্ধুর সাথে এসেছেন। তিনি বলছিলেন বিনোদনের একটা জায়গা হিসেবে মানুষ এটা দেখছে তবে পরবর্তীতে হয়তবা শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের প্রতি সাধারণ মানুষের একটা ইতিবাচক পরিবর্তন হবে বলে মনে করছেন তিনি।
ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে ক্লাসিকাল মিউজিক ফেস্টিভ্যাল ২৪ তারিখ থেকে শুরু হয়ে চলবে ২৮ তারিখ পর্যন্ত।
পাঁচ দিনের আয়োজনে দেশি-বিদেশি শিল্পী যাদের পরিবেশন হয়তো টেলিভিশনে দেখেছেন বা শুনেছেন তাদেরকে একেবারে সামনের থেকে দেখার সুযোগ পাচ্ছেন দর্শকরা। মি. হাবিব বলছিলেন শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের যারা বোদ্ধা দর্শক, তাদের বাইরে সাধারণ মানুষকে আকৃষ্ট করার জন্য এই ধরণের অনুষ্ঠানের আরো আয়োজন করা দরকার।
ইকবাল মাহমুদ প্রতিবারেই এসেছেন। তিনি বলছিলেন ” বাংলাদেশে এভাবে সুষ্ঠু বিনোদনের জায়গা খুব কম। এটা যদি চলতে থাকে তাহলে এটার একটা ইতিবাচক প্রভাব পরবে বলে মনে হয়”।
এবারে রাগসঙ্গীতের কিংবদন্তি আলাউদ্দিন খাঁর পৌত্র ওস্তাদ আশিষ খাঁ এবার প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে আসছেন। তবে উৎসবে আসা দর্শকদের সাথে কথা বলে জানা গেল উৎসবের শেষ রাতে পণ্ডিত হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়ার বাসির মূর্ছনা শোনার জন্য অপেক্ষা করছেন অনেকে।
বি/বি/সি/এন