জুয়েল বসুনীয়া, নীলফামারী: নীলফামারী জেলার চিলাহাটি জে ইউ ফাজিল মাদ্রাসা দীর্ঘদিন অবকাঠামোর উন্নয়ন, পরিচালনার ঘাটতি ও শিক্ষা ব্যবস্থার চরম বেহাল দশায় পড়েছে। গতকাল দুপুরে প্রানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার পরিবেশ ফিরে পেতে ৮ দফা দাবি নিয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সমাবেশ পালন করে।
বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে মাদ্রাসায় নিয়মিত পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা নিয়মিত মাদ্রাসায় আসলেও শিক্ষকরা ক্লাস নিতে আসেন না। যার ফলে আমারা সবাই সঠিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। ক্যাম্পাসে সব সময় বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ থাকায় শিক্ষা ব্যবস্থার লাজুক অবস্থার অবনতি হলেও দেখার কেউ নেই। মাদ্রাসার নামে ৪৪ বিঘা জমি , দুটি টাওয়ার,১০ টি দোকান ঘর সহ চতুর্মুখী আয়ের উৎস থাকা সত্ত্বেও মাদ্রাসার কোন সংস্কার করা হয়নি। প্রতি বছর অতিরিক্ত ভত্তি ফি সহ অন্যান্য ফি আদায় করা হলেও শিক্ষাথীদের কোন রশিদ দেওয়া হয় না। এছাড়াও মাদ্রাসার দোকান ঘর গুলি থেকে ভাড়া আদায় করা হলেও কোন রশিদ দেওয়া হয় না। আমাদের একটাই প্রশ্ন তাহলে এই টাকা কোথায় যায়। মাদ্রাসার সংলগ্ন একটি এতিমখানা ও লিল্লা বোডিং থাকলেও সেখানেও করুন অবস্থা। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ তার নিজের লোকজন দিয়ে ম্যানেজিং কমিটি গঠন করে তাদের নিয়ে তার ইচ্ছামত নিজ স্বার্থের কাজ পরিচালনা করে আসছে।
তাই আমরা মাদ্রাসার শিক্ষার পরিবেশ ও অন্যান্য পরিবেশ ফিরে পেতে সকল শিক্ষার্থী মিলে দাবি গুলি শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এবং শিক্ষার্থীদের দক্ষতা ও সৃজনশীলতা প্রকাশে সুযোগ করে অনতি বিলম্বি চিলাহাটি জে ইউ ফাজিল মাদ্রাসায় ছাত্র সংসদ প্রতিষ্ঠা করতে হবে, শিক্ষার যথাযথ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে, শিক্ষা বান্ধব ক্যাম্পাস নিশ্চিত করতে হবে, শ্রেণী কক্ষে শিক্ষকদের নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করতে হবে, দিনভর ক্লাসের পরিবর্তে ক্লাসগুলো মর্নিং শিফট চালু করতে হবে, মাদ্রাসার ভর্তি ফি সহ বিভিন্ন বোর্ড পরীক্ষার ফি বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ফি ব্যতীত অতিরিক্ত ফি ধার্য করা যাবে না। প্রতিটি ফি রশিদ মূলে আদায় করতে হবে, মাদ্রাসার স্টাফ কর্তৃক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে যথাযথ সোদাচরণ নিশ্চিত হবে, শিক্ষার্থীদের আমল আখলাক বিকাশে গুরুত্ব প্রদান ও মাদ্রাসার সাংস্কৃতিক উন্নয়নে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এই ৮ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর প্রতিবাদ তুলে ধরছি।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ জাকির হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের সকল দায় দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে তা বাস্তবায়ন করা হবে। তবে তাদের অনেক অভিযোগ মিথ্যা।