ডেস্ক রিপোর্ট- ঋতুর পালাবদলে রূপসি বাংলায় শীতের আগমন। কারও কাছে শীত ভালো, কারও কাছে গরম।শীতের রাতই সবচেয়ে বড় হয়ে থাকে। পর্যাপ্ত ঘুমের চাহিদা মিটানোর পরও ঢের সময় বাকি থাকে রাত পোহাবার। ঘুমের চাহিদাও ফুরিয়ে আসে শেষ রাতের দিকে।
তাই শীতের রাতকে আমলের রাত বানানোর মহোত্তম সুযোগ। তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করার সবচেয়ে বড় সুযোগ তৈরি হয় এই শীতে। সৌভাগ্য অর্জন করা যায় অতি সহজেই। লাভ করা যায় মহান মালিকের সান্নিধ্য। শীতের রাতে আমলের বিশেষ মর্যাদার কথা বর্ণিত হয়েছে। হাদিসে শীতের রাতে তাহাজ্জুদের নামাজের গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে বিশদভাবে।
সাহাবি হজরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ফরজ নামাজসমূহের পর উত্তম নামাজ হলো তাহাজ্জুদের নামাজ। (মুসনাদে আহমদ) অপর হাদিসে বর্ণিত আছে, রাসুল সা. বলেছেন, যখন রাতের শেষ এক তৃতীয়াংশ বাকি থাকে আমাদের রব পৃথিবীর আকাশে নেমে আসেন এবং ডাকতে থাকেন ‘আছে কি কেউ যে আমার কাছে প্রার্থনা করবে অতঃপর আমি তার প্রার্থনায় সাড়া দেব। আছে কি কেউ যে আমার কাছে কিছু চাইবে অতঃপর আমি তাকে তা দেব। আছে কি কেউ যে আমার কাছে ক্ষমা চাইবে অতঃপর আমি তাকে ক্ষমা করে দেব।
কনকনে শীতের রাতে তাহাজ্জুদের জন্য অজু করলে আল্লাহ তায়ালা খুশি হন। তিনি ফেরেশতাদের বলেন, ‘আমার এ বান্দার প্রতি লক্ষ করো। সে ইবাদতের জন্য নিজেকে কত কষ্টের সম্মুখীন করেছে। আমার কাছে এ বান্দা যা চাইবে, তাই পাবে।’ লাতায়িফুল মায়ারিফ শীতকালকে ‘ইবাদতের বসন্তকাল’ বলা হয়। আবু সাইদ খুদরি রা. নবীজি সা. থেকে বর্ণনা করে বলেন, ‘শীতকাল মুমিনের বসন্ত।’
মুসনাদে আহমদ শীতকাল এলে হজরত ইয়াহইয়া ইবনে মুয়াজ রহ. বলতেন, শীতের রাত দীর্ঘ। ঘুমিয়ে তাকে খাটো করো না এবং ইসলাম পবিত্র-পরিচ্ছন্ন, গোনাহর মাধ্যমে কলুষিত কর না।
বিশিষ্ট সাহাবি হজরত মুয়াজ রা. মৃত্যুকালে কেঁদে কেঁদে বলেন, গ্রীষ্ককালের দুপুরের শীতল পানি আর শীতকালের রাতের নামাজের জন্য আমি কাঁদছি। অর্থাৎ গ্রীষ্মকালে তিনি রোজা রাখতেন এবং শীতকালে রাত জেগে নামাজ আদায় করতেন। ই
মাম মালেক রহ. উল্লেখ করেন, সাফওয়ান ইবনে সুলাইম রহ. শীতকালে ঘরের ছাদে ওঠে তাহাজ্জুদ পড়তেন আর গ্রীষ্মকালে ঘরের ভেতরে পড়তেন। পূর্ববর্তী অনেক বুজুর্গানে দ্বীন সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে, তারা শীতকালে গ্রীষ্মকালীন পোশাক এবং গ্রীষ্মকালে শীতকালীন পোশাক পরে রাতে তাহাজ্জুদ পড়তেন।