কাওছার হামিদ, কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী, প্রতিনিধি: নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় মামলা করায় পালিয়ে বেড়াচ্ছে বাদীনির পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৪ আগষ্ট শনিবার সন্ধায় উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের দক্ষিন পাড়া গ্রামে। মামলার এজাহার সুত্রে জানাগেছে ওই গ্রামের ওয়াজেদ আলীর কন্যা আরফিনা বেগম এর সহিত একই গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের ছেলে আদম আলীর বিগত ১৫/০৯/২০১০ইং সালে ইসলামী শরাশরীয়ত মোতাবেক রেজিষ্ট্রেরী মুলে বিবাহ হয়। বিয়ের পর তাদের স্বামী-স্ত্রী ঘর সংসার করতে থাকে। কিন্তু ছেলে পিতা মৃত ইসলাম উদ্দিন,মাতা মৃত মল্লিকা বেগম যৌতুকের জন্য প্রায় আরফিনা বেগমের উপর অত্যাচার করতো। বিষয়টি আরফিনা বেগম তার পিতা-মাতাকে বললে মেয়ের সুখের জন্য যৌতুক বাবদ ১৪ শতাংশ জমি আবাদ করার ছেড়ে দেন। তাতেও যৌতুক লোভী স্বামী ক্ষান্ত হননি পুনরায় তার উপর অন্যায় অত্যাচার শুরু করেন। ফলে জামতাকে দেওয়া ১৪ শতাংশ জমি ফেরৎ নেন আরফিনা বেগমের পিতা ওয়াজেদ আলী। কিছু দিনের মধ্যে আবারও শুরু হয় স্ত্রী আরফিনা বেগমের উপর শারীরিক ও মানুষিক নির্যার্তন। নির্যাতন সহ্য করতে না পারায় আরফিনা বেগম বাদী হয়ে নারী শিশু নির্যাতন আইনে ১১/(গ)/৩০ ধারায় বিজ্ঞ আদালত,নীলফামারীতে মামলা দায়ের করেন। মামলা করার পর ক্ষিপ্ত হয়ে স্বামী আদম আলী লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্দা উপজেলার বড়খাতা এলাকার দোলাপাড়া গ্রামে আতিয়ার রহমানের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌসকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। নিরুপায় হয়ে আরফিনা বেগম মোহর ও স্ত্রীর অনুমতি ছাড়াই দ্বিতীয় বিয়ে করার দায়ে আরো দুটি মামলা দায়ের করেন। এদিকে মামলা গুলোর গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি হলে গত শনিবার সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জ থানার এসআই আব্দুস ছালাম এর নেতৃত্বে একদল সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী আদম আলীকে গ্রেফতার করলে আসামী পক্ষের লোকজন পুলিশের নিকট থেকে ধস্তা-ধস্তি করে আসামী আদম আলীকে ছিনিয়ে নেয়। এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ পলাশ চন্দ্র মন্ডলের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন আসামী গ্রেফতার করতে গিয়েছিল কিন্তু পুলিশকে বাড়িতে ঢুকতে দেয়নি এই কথা বলে সাংবাদিকের ফোন কেটে দেন। পরে একাধিবার ফোন দিলেও ফোন রির্সিভ করেননি ওসি পলাশ মন্ডল। পরে এসআই আব্দুস ছালাম এর ০১৭১৪৬০৭৯৯২ মোবাইল নম্বারে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরদিন ২৫ আগষ্ট রবিবার ওয়াজেদ আলীর উক্ত ১৪ শতাংশ জমি আসামী পক্ষের লোকজন দা,বটি,কুড়াল, ছুরি সহ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জবর দখল করে এবং জমিতে চাষাবাদকৃত শাক-শবজী, গাছ-পালা উপড়ে ফেলে, তারা নতুন করে গাছ লাগানো শুরু করলে বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে বিয়টি সরেজমিনে দেখার জন্য সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গেলে আসামীর বোন এসমো তারা, খালাতো বোন লিপি বেগমসহ তাদের লোকজন সাংবাদিকের উপর চড়াও হয় এবং মারমুখী অবস্থান নেয়। এদিকে ঘটনার দিন থেকে আসামী পক্ষের লোকজনের ভয়ে বাদীনির পিতা ওয়াজেদ আলী,ভাই স্বাধীন মিয়া বাড়ীতে ঢুকতে পারতেছে না, এমনি তাদেরকে ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এ ব্যাপারে আসামী আদম আলীর বোন এসমোতারা এবং খালাতো বোন লিপি বেগমের সাথে কথা হলে তেনারা জানান আমার ভাইয়ের নাম মাত্র বিয়ে হয়েছে,ভাইয়ের সাথে এখন পর্যন্ত সংসার কোনদিন হয় নাই,এছাড়া আরফিনা বেগমের অন্যত্রে বিয়ে হয়েছে তার একটি সন্তানও রয়েছে বলে অভিযোগ করেন। কিন্তু তার অন্যত্রে বিয়ে হয়েছে কিনা তার কোন প্রমানাদী দেখাতে পারেন নাই আদম আলীর পরিবার। এগিকে আসামী পক্ষের লোকজনের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বাদীনির পরিবার তাই বিষয়টি নীলফামারী জেলা পুলিশ সুপারের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগি পরিবার।