ডেস্ক রিপোর্টঃ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সংবিধানে সহায়ক সরকারের কোন অস্তিত্ব নেই।ওবায়দুল কাদের শুক্রবার বিকেলে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ ঊপজেলার বসুরহাট পৌরসভা মিলনায়তনে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।নির্বাচন কমিশনের অধীনে আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের জন্য কমিশন কাজ করবে। ওই সময়কালীন সরকার শুধু রুটিন দায়িত্ব পালন করে যাবে। তবে নির্বাচন কমিশন চাইলে সেনাবাহিনী নির্বাচনের সময় স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে বলে তিনি জানান।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ সময় জানান, আগামী নির্বাচনে বিএনপিই হবে তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী।জনগণকে সাথে নিয়ে দেশে অন্দোলন করার কোন কারণ নেই উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০১৯ সালের ১২ জানুয়ারির আগে ৩ মাসের মধ্যে নির্বাচন হবে। এক্ষেত্রে ২০১৮ সালে বিজয়ের মাসে নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ বিষয়টি অবশ্যই নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার। তারাই নির্বাচনের তারিখ ঠিক করবেন।সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যদি আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ না হয়। তাহলে আওয়ামী লীগের চেয়ে বড় শক্তি আর এ দেশে নেই। বর্তমান সরকারের আমলে দেশে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। আগামী নির্বাচনে যদি আওয়ামী লীগ জয় লাভ করে, তাহলে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক চেহারা পাল্টে যাবে।’
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খানের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মাহবুব আলম তালুকদার, পুলিশ সুপার মোঃ ইলিয়াছ শরীফ, বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলসহ জেলা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকা শহরে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের ৩টি আলিশান বাড়ি আছে। তিনি খাটের অভাবে মেঝেতে শুয়েছেন। এটা বছরের সেরা কমেডি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পাহাড় ধসের ঘটনায় সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নিরলসভাবে উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে সাহায্যও অব্যাহত থাকবে।
বি/এস/এস/এন