ডেস্ক রিপোর্টঃ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এমপি বলেছেন, সবার পড়ালেখার সুযোগ সৃষ্টি করেছে বর্তমান সরকার।
মানুষ শ্রেষ্ঠ জীব উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। সরকার তাই শিক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে এর উন্নয়নে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলেছে।
আজ সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন্নাহার হলের দিনব্যাপী ‘তৃতীয় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান-২০১৭’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
‘স্মৃতির আনন্দে, এসো মিলি প্রাণের বন্ধনে’ -স্লোগানকে ধারণ করে হল মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে শামসুন্নাহার হল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকী এমপি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, শামসুন্নাহার হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সুপ্রীয়া সাহা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামানাই এসোসিয়েশনের সভাপতি একে আজাদ।
সভাপতিত্ব করেন হল অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি আভা দত্ত। স্বাগত বক্তৃতা দেন হল অ্যালামনাইয়ের সাধারণ সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা।
অর্থমন্ত্রী বলেন, সমাজে যারা পেছনে পড়ে আছে, তাদের শিক্ষা নিশ্চিত করতে শামসুন্নাহার হলের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা বর্তমান শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদানের যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা প্রশংসনীয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিকৃত অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করছে জেনে তিনি এ মহৎ উদ্যোগে বিত্তবানদের আরো বেশি করে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে হল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এ শামসুন্নাহার হলের গুণী ও সমাজে প্রতিষ্ঠিত ১০ নারী ব্যক্তিত্বকে সম্মাননা এবং হলের ৫ অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করে।
সম্মাননাপ্রাপ্ত নারীরা হলেন- শামসুন্নাহার হলের প্রথম প্রভোস্ট অধ্যাপক মেহেরুন্নেছা চৌধুরী, হল অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের প্রথম সভাপতি অধ্যাপক ড. সুলতানা শফি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপাচার্য ও এ হলের ছাত্রী অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম, ক্রীড়াবিদ, সংসদ সদস্য মাহবুব আরা বেগম গিনি, স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী মুক্তিযোদ্ধা শাহীন সামাদ, মহিলা সাংবাদিকতার অন্যতম দিশারী রাশেদা আমিন, সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রমিলা ক্রীড়াবিদ শাহিদা খাতুন, কবি ও শিক্ষাব্রতী ড. দিলারা হাফিজ, নারী উদ্যোক্তা সেলিনা আলী এবং রাফেজা খাতুন লাইজু। তাদের প্রত্যেককে সম্মাননা ক্রেস্ট ও উপহার প্রদান করা হয়।
শামসুন্নাহার হলের প্রাক্তন ৫ শিক্ষার্থী বর্তমানে হলে অবস্থানরত অস্বচ্ছল ৫ শিক্ষার্থীর ৫ বছর পর্যন্ত লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রতিমাসে ২ হাজার টাকা করে বৃত্তি প্রদানের দায়িত্ব নিয়েছেন। বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- আমেনা খাতুন, শায়মা চৌধুরী শিমুল, জান্নাতুল তাসমিন, স্বপ্না পারভীন ও হায়দারী সুলতানা রেজিনা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে শামসুন্নাহার হল প্রাঙ্গণে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে অর্থমন্ত্রী জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন এবং শান্তির প্রতীক পায়রা ও একঝাঁক বেলুন উড়িয়ে উৎসবের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
আলোচনা পর্বের শুরুতে হলের প্রয়াত সদস্যদের স্মরণে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
পরে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে হলের প্রবীণ ও নবীন শিক্ষার্থীদের ভাব বিনিময় ও স্মৃতিচারণায় উৎসবমুখর হয়ে উঠে হল প্রাঙ্গণ। সর্বাধিক প্রাক্তন শিক্ষার্থী এ পুনর্মিলনীতে অংশগ্রহণ করেন।
বি/এস/এস/এন