salik

বিডি নীয়ালা নিউজ(২৫ই ফেব্রুয়ারি১৬)-আসাদুজ্জামান সুজন (নীলফামারী প্রতিনিধি):  আমাদের অতি পরিচিত চেনা-জানা উপকারী প্রধান কয়েকটি পাখির মধ্যে অন্যতম প্রধান হলো শালিক পাখি।
ছোট আকৃতির ধূসর রঙের এই পাখি গুলো অত্যান্ত নিরীহ ও শান্ত স্বভাবের। ক্ষেতের ক্ষতি কারক পোকা-মাকড় খেয়ে কৃষিপণ্য উৎপাদনে সহায়তা করে বলে আমরা এদের উপকারী পাখি বলি। আগে ক্ষেত-ক্ষামারে অসংখ্য শালিক পাখি দেখা যেতো। সকাল-সন্ধায় কিচির-মিচির শব্দে মুখরিত করে তুলতো সেকালের পল্লী গাঁয়ের বাঁশ বাগান। মনে হতো এ যেন শালিক পাখির হাট। শালিক পাখির কিচির-মিচির শব্দে ভেঙ্গে যেত সাধারন মানুষের ভোরের ঘুম।

কিন্তু বড়ই দুঃখের বিষয় ফসলের জমিতে কীটনাশক ব্যবহারে অতি চেনা এই পাখি হারিয়ে যাচ্ছে।

মূলত শালিক পাখি আমাদের কোন ক্ষতি করে না। বরং এরা কৃষি জমির কইত কারক পোকা-মাকড় খেয়ে আমাদের ক্ষেতের ফসল রক্ষা করে। অথচ পরোপকারী এই পাখি গুলোই অবাধে নিধন করা হচ্ছে। পাখি শিকারীর দল বিষটোপ, এয়ারগানসহ বিভিন্ন ফাঁদ পেতে শালিক নিধন করছে। দেশে পাখি নিধন আইন আছে কিন্তু নেই শুধু এই আইনের যথাযথ প্রয়োগ। সবলা চলে আইনের এই দুর্বলাতার কারনেই এক শ্রেণীর মানুষ পাখি শিকারকে এখন মূল পেশা হিসাবে গ্রহন করেছে। এরা শালিকসহ দেশী-বিদেশী সব পাখি নিধন করছে এবং প্রকাশ্যে তা বাজারে বিক্রি করছে। মূলত পাখি শুধু পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে তা নয়,প্রকৃতির সৌন্দর্যও বাড়ায়। তাই শালিখসহ সব শ্রেণীর পাখি নিধন বন্ধের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট এলাকার গ্রাম গুলোতে পাখির অভয়াশ্রম গড়ে তোলা এখন সকলের দাবি। এই বিষয়ে সরকারী-বেসরকারী পরিবেশ বান্ধব সংগঠনসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে