ডেস্ক রিপোর্ট : সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি বলেছেন, তরুণ প্রজন্মকে শিল্প ও সংস্কৃতিমনস্ক হিসেবে গড়ে তুলতে শেখ হাসিনার সরকার দেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যায়ে ‘সাংস্কৃতিক চর্চা কার্যক্রম’ শুরুর উদ্যোগ নিয়েছে।তিনি বলেন, আগামী অর্থবছরের জুলাই থেকে এ কার্যক্রম শুরু হবে।আজ দুপুরে দেশের ১৮টি জেলায় পাইলট প্রকল্প হিসেবে সাংস্কৃতিক চর্চার এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন এবং ওইসব জেলার শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার হলে এ সভার আয়োজন করে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়।
এতে সংস্কৃতি সচিব ইব্রাহিম হোসেন খান, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
দেশজ সংস্কৃতি, কৃষ্টি, সমকালীন শিল্প ও সাহিত্য সংরক্ষণ এবং সংস্কৃতিমনস্ক জাতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এ কার্যক্রম শুরু করেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী নূর বলেন, এর মাধ্যমে সরকার টেলেন্ট হান্ট বা শিল্পী তৈরি করার কোন প্রকল্প হাতে নেয়নি। তবে স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা যেন গান, কবিতা বা শিল্পকলা হৃদয়ে ধারণ করে ভবিষ্যতে পথ চলতে পারে, সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে এ উদ্যোগ হাতে নেয়া হয়েছে।তিনি বলেন, যে ব্যক্তি গান, কবিতা হৃদয়ে ধারণ করে সে কখনও কোন অন্যায় কাজ করতে বা মানুষ হত্যা করতে পারে না।সম্প্রতি বেশ কয়েকটি জঙ্গি হামলায় ধর্মযাজক ও পুরোহিতসহ বিদেশী নিহত হওয়ার ঘটনা স্মরণ করে সংস্কৃতি মন্ত্রী বলেন, অপ্রত্যাশিত, অনাকাঙ্খিত ও বেদনাদায়ক ওই ঘটনাগুলো তরুণ প্রজন্মের হাতে ঘটায় সরকার উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে। তার প্রেক্ষিতে দেশের সংস্কৃতির পুরোধাদের পরামর্শ নিয়ে মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যায়ে এ উদ্যোগ চালু করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এতে প্রথম পর্যায়ে দেশের ১৮টি জেলার প্রতি জেলায় ১০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অর্থাৎ মোট ১৮০টি বিদ্যালয়ে নতুন অর্থবছর থেকে এ কার্যক্রম শুরু হবে।পর্যায়ক্রমে দেশের অন্যান্য জেলায়ও এ কার্যক্রম চালু করা হবে উল্লেখ করে আসাদুজ্জামান নূর বলেন, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ পর্যায়ে প্রতি বিদ্যালয়ে ১টি হারমোনিয়াম ও এক সেট তবলা প্রদান করা হচ্ছে। এ কার্যক্রমকে সফল করে তুলতে প্রশিক্ষক ও তবলচি নিয়োগের পাশাপাশি তিনি বিদ্যালয়ের আগ্রহী শিক্ষকদের অন্তর্ভূক্ত করার পরামর্শ দেন।অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে মন্ত্রী ১৮টি জেলার প্রত্যেক শিক্ষা কর্মকর্তার হাতে ১টি বিদ্যালয়ের জন্য ১টি হারমোনিয়াম ও এক সেট তবলা তুলে দেন এবং বাকী ৯টি বিদ্যালয়ের জন্য হারমোনিয়াম ও তবলা কেনার নগদ অর্থের চেকও কর্মকর্তাদের হাতে তুলে দেন।

পাইলট প্রকল্প হিসেবে যে জেলাগুলোতে এ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে, সে জেলাগুলো হলো- গোপালগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মুন্সীগঞ্জ, পঞ্চগড়, নীলফামারী, রংপুর, খুলনা, যশোর, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, কক্সবাজার, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, বরিশাল, ভোলা, সুনামগঞ্জ, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা।

বি/এস/এস/এন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে