সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার অন্তর্গত ইউপি চেয়ারম্যানগণ আত্মগোপনে থাকায় দুর্ভোগে পড়েছে সেবা গ্রহীতারা।প্রয়োজনীয় জরুরি কাজে সেবা নিতে এসে চেয়ারম্যানদের না পেয়ে চরম বিপাকে পড়েছে ভুক্তভোগীরা।গণঅভ্যথানে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পদত্যাগ হয়।এরপর ইউপি চেয়ারম্যানদের অপসারিত কার্যক্রম চলতে থাকে।আওয়ামী লীগের পদ পদবীতে অধিষ্ঠিত হয়ে নৌকার টিকিট নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
পরিষদের অন্যান্যদের তোয়াক্কা না করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে সংশ্লিষ্ট পরিষদের অর্থ ও বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতি,লুটপাট করায় হামলা-মামলার ভয়ে গত ৫ আগস্ট হতে অদ্যাবধি পর্যন্ত পরিষদে অনুপস্থিত থেকে তারা আত্মগোপনে রয়েছেন। গা ঢাকা দেয়া অনেক চেয়ারম্যানের ফোন বন্ধ।২/১ জনের ফোন চালু থাকলেও সেবা নিতে আসা নাগরিকদের কল তারা রিসিভ করছেন না।ফলে জন্মনিবন্ধন,নাগরিক সনদ,ওয়ারিশীয়ান সনদ,মৃত্যু সনদ,বয়স্ক ভাতা,গর্ভবতী ভাতাসহ প্রয়োজনীয় কাজে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন ভুক্তভোগীরা।পরিষদের ইউপি সদস্য (মেম্বর)রা জানান, ইউপি চেয়ারম্যানরা আত্মগোপনে থাকায় সরকারি নির্দেশ মোতাবেক সংশ্লিষ্ট দফতরে প্যানেল চেয়ারম্যানদের পুন:গঠন তালিকা প্রেরণ করলেও অদ্যাবধি তাদের দায়িত্বভার/নির্দেশ না পাওয়ায় সুচারু ভাবে তারা পরিষদ পরিচালনা করতে পারছেন না। রামকৃঞপুর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বর নায়েব আলী জানান,ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম হিরো আওয়ামী লীগের অন্যতম নেতা হয়ে কাউকে তোয়াক্কা না করে অনিয়ম, দুর্নীতি,প্রকল্পে লুটপাট সহ নানাবিধ অভিযোগে ইতিমধ্যেই তার বিরুত্ধে সকল মেম্বরগণ সংশ্লিষ্ট দফতরে লিখিত ভাবে অনাস্থা করেন। কিন্ত রহস্যজনক কারনে এখনও তদন্ত হচ্ছে না।
এমন দাবী করে সলঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের একাধীক মেম্বর জানান,আমাদের পরিষদের চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমানের বিরুদ্ধেও অনাস্থা করলে আজ পর্যন্ত তার তদন্ত হচ্ছে না। ৮নং সলঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদে সেবা নিতে আসা জগজীবনপুর গ্রামের ভুক্তভোগী আ: মোমিন জানান,জমির খারিজ করতে ওয়ারিশীয়ান সনদ নিতে এসেছি। চেয়ারম্যান মোখলেছ ও সচিব বাসুদেব ঘোষ কাউকেই পাচ্ছি না। তাই সনদ না পেয়ে ফেরত যেতে হচ্ছে।একই কথা বললেন নাগরিক/চারিত্রিক সনদ নিতে আসা পুস্তিগাছা গ্রামের যুবক আবু তালেব।
পরিষদে সেবা নিতে আসা বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী জানান,চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান তালুকদার একমাস ধরে অনুপস্থিত।ভুক্তভোগী হচ্ছেন সেবা নিতে আসা ইউনিয়নের সাধারন মানুষ।তাই সলঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সকল সেবা কার্যক্রম স্বাভাবিক করতে সংশ্লিষ্ট কর্তা ব্যক্তিদের কাছে দ্রুত দাবী জানান ভুক্তভোগীরা।