সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: দেশের দক্ষিনাঞ্চলের ১১ জেলায় ভয়াবহ বন্যা দুর্গত মানুষকে সহযোগীতা করার জন্য সারা দেশে তরুণ সমাজ ও শিক্ষার্থীরা অর্থ সংগ্রহ করছে।
এরই ধারাবাহিকতায় অনুদান বক্স হাতে নিয়ে সাধারন মানুষের কাছে ছুটে চলেছে সলঙ্গার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমাজসহ সাধারন শিক্ষার্থীরা।বন্যার্ত মানুষদের সাহায্যের হাত বাড়ানোর কাজে নেমে তারা নিজেকে ধন্য মনে করছে।দলে বিভক্ত হয়ে পায়ে হেঁটে পাড়া-মহল্লা, বাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, দোকান পাটসহ রাস্তাঘাটে অর্থ সংগ্রহ করছে তারা।সলঙ্গা থানা সদর,হাটিকুমরুল রোড গোল চত্বর, ভুইয়াগাঁতী, ঘুড়কাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ণ স্থানে ঘুরে ঘুরে তারা অর্থ সংগ্রহ করছে।
গতকাল সকাল ১০ টায় থানার নলকা ইউনিয়নের এরান্দহ গ্রামে অধ্যয়নরত স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীদের মানবতার কল্যাণে অর্থ সংগ্রহ করার এমন দৃশ্য দেখে অনেকেই তাদের আশীর্বাদ ও প্রশংসা করছে। ছাত্রীরা অনুদান বাক্স নিয়ে সামর্থ অনুযায়ী সকলের সহযোগীতা চাচ্ছে। এরান্দহের বাহের খন্দকার (৭০) নামের দিমজুরকেও সামর্থ অনুযায়ী দানবক্সে অর্থ দিতে দেখা গেছে।বোয়ালিয়ার চর সপ্রাবি’এ ঐ সব শিক্ষার্থীরা দান বক্স নিয়ে গেলে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা সাধ্যানুসারে দান বক্সে অর্থ প্রদান করেন।এ সময় শিক্ষকরা জানান,দেশের দক্ষিনে বেশ কয়েকটি জেলায় যে ভয়াবহ বন্যা হয়েছে,তা সত্যিই মর্মান্তিক।লাখ লাখ মানুষ,প্রাণীকুল পানিবন্দী হয়েছে।টিভির পর্দায় তাদের দু:খ-দুর্দশা দেখে সামান্য হলেও আমরা এসব ছাত্রীদের কাছে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ পেলাম। সোমবার দুপুরে ধুবিল মালতিনগর (আমতলা) বাজার এলাকার কয়েক দোকানী জানায়,দেশের এই ক্লান্তি লগ্নে মানুষ সবাই এভাবে সাহায্যের হাত বাড়ালে বন্যার দুর্যোগ মোকাবেলা করা সম্ভব হবে।বানভাসীদের জন্য অর্থ সংগ্রহের কাজে ছুটে চলা শিক্ষার্থী বিথী, আতিয়া,জুবাইদা,বর্ষা,সাদিয়া জানায়,আমরা মানবিক মুল্যবোধ,বিবেকের তাড়নায় বন্যা কবলিতদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য অর্থ সংগ্রহ করছি।বিকেলে সলঙ্গা মাদ্রাসা মোড় (শহীদ চত্বর) এ অর্থ সংগ্রহের কাজে ব্যস্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা জানায়,আমাদের হাতে দান বাক্স দেখে অনেকেই স্বত:স্ফুর্তভাবে অর্থ দান করেছেন।সংগৃহীত অর্থ যথাযথ ভাবে বন্যার্তদের কাছে প্রেরণ করবেন বলে শিক্ষার্থীরা জানায়।