ডেস্ক রিপোর্টঃ দিনাজপুরের বোচাগঞ্জের টাঙ্গন নদী ঘেঁষা বেলে মাটিতে এক সময় কৃষকরা কোন ফসলই আবাদ করতে পারতো না। কিন্তু কৃষি প্রযুক্তির বৌদলতেই সেই জমিতেই এখন একসাথে দুইটি ফসল আবাদ করে বড় সুলতানপুর গ্রামের কৃষকরা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বি হয়ে উঠেছে। বোচাগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, চলতি আমন মৌসুমে বোচাগঞ্জ উপজেলায় ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আমন ধান আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে উপজেলার বড় সুলতানপুর সহ কয়েকটি গ্রামে প্রায় ৪শত হেক্টর আম ও লিচু বাগানে সাথী ফসল হিসেবে আমন ধান আবাদ করেছে এই এলাকার কৃষকরা। তিনি জানান, গত জুন ও জুলাই মাসে কৃষকরা ঐ জমির আম ও লিচু বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার পর পরই তারা ঐ জমিতেই সাথী ফসল হিসেবে আমন ধান আবাদ করেছে।
ধানের ফলন ভাল হওয়ায় কৃষকরা অল্প সময়ের মধ্যে উক্ত জমিতেই ধান আবাদের মাধ্যমে আর্থিকভাবে লাভবান হয়ে স্বাবলম্বি হচ্ছেন। তাদের দেখে অনেকেই ধানের জমিতে বিভিন্ন ফল জাতীয় বাগান করতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। বড় সুলতানপুর গ্রামের কৃষক আবুল কাশেম জানান, ৫ একর আম বাগান ও ৩ একর লিচু বাগানে তিনি সাথী ফসল হিসেবে আমন ধান লাগিয়েছেন। ফলনও হয়েছে ভাল। যা থেকে তিনি আর্থিকভাবে লাভবান হবেন বলে জানান। বোচাগঞ্জের বড়সুলতানপুর, সেনিহারি, টেনা, ছোট সুলতানপুর, নাফানগর, ভাদুয়ারী গ্রামের অসংখ্য কৃষক বাগানের পাশাপাশি সাথী ফসল ফলিয়ে আর্থিকভাবে ব্যাপক স্বাবলম্বি হয়েছেন। সঠিক পরিকল্পনা অনুযায়ী একই জমিতে ধান, গম, ভূট্টার পাশাপাশি আম ও লিচুর বাগান করার প্রতি ঝুকছে বোচাগঞ্জের কৃষকরা।