২১ মার্চ, ২০২২ (বাসস) : রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ সঠিক পানি ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তিনি বলেছেন, নদীমাতৃক কৃষি নির্ভর বাংলাদেশের খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন ও সামগ্রিক উন্নয়নে সঠিক ও পরিকল্পিত পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনার ভূমিকা অপরিসীম। রাষ্ট্রপতি আগামীকাল ২২ মার্চ ‘বিশ্ব পানি দিবস’ উপলক্ষ্যে আজ এক বাণীতে এ কথা বলেন।
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও এ দিবসটি পালন করতে যাচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে আবদুল হামিদ বলেন, দেশে ফসল উৎপাদন, সেচ ও গৃহস্থালি কাজে ভূ-গর্ভস্থ পানির ব্যবহার ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। মাটির নীচে পানির আধার সুরক্ষা ও পানির গুণাগুণ বজায় রাখতে ভূ-উপরিস্থ ও ভূ-গর্ভস্থ পানির সমন্বিত ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । এ প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘ ঘোষিত এ বছরের বিশ্ব পানি দিবসের প্রতিপাদ্য ‘ ভূ-গর্ভস্থ ঃ অদৃশ্য সম্পদ দৃশ্যমান প্রভাব’ সামগ্রিক বিবেচনায় অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হয়েছে বলেও তিনি মনে করেন।
রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং শুষ্ক মৌসুমে পানি প্রাপ্তির অনিশ্চয়তার কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্য উৎপাদন, পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে পড়ছে। আবার অতিবৃষ্টি, বন্যা ও জলাবদ্ধতার কারণেও জনদুর্ভোগ এবং সম্পদের মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে।
তিনি বলেন, এসকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার দেশে পানির ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নদী ড্রেজিং, খাল পুনঃখনন, প্রাকৃতিক জলাধার রক্ষণাবেক্ষণ এবং নতুন জলাধার ও ব্যারেজ নির্মাণের কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। একই সাথে নদীর তীর সংরক্ষণ, পানি অবকাঠামো সংস্কার করে জলাবদ্ধতা দূরীকরণ, ভূমি পুনরুদ্ধার, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, অংশগ্রহণমূলক পানি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মানুষের জীবনমান উন্নয়ন এবং প্রতিবেশ ও পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, এ সকল কার্যক্রমের পাশাপাশি উন্নয়ন প্রকল্পের গুণগত মান ও কৌশলগত কার্যকারিতায় নতুন ভাবনা ও প্রযুক্তির সংযোজন করা হচ্ছে। সঠিক পানি ব্যবস্থাপনায় সরকারের এ সকল উন্নয়ন কার্যক্রম ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে।
তিনি ‘বিশ্ব পানি দিবস-২০২২’ উপলক্ষ্যে গৃহীত কার্যক্রমের সফলতা কামনা করেন।
BSSN