সারাদেশে আজও ঝড়-বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে আগামী তিনদিনের মধ্যে ঝড়-বৃষ্টির প্রবণতা কমতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

রোববার (১৯ মার্চ) সকাল ৬টা থেকে সোমবার (২০ মার্চ) সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে বৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও ছিল কালবৈশাখী ঝড়। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সারাদেশের ৪৪টি বৃষ্টি পরিমাপক কেন্দ্রের মধ্যে ৪৩টিতে বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। একমাত্র কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বৃষ্টি হয়নি। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি ৬১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে কিশোরগঞ্জের নিকলিতে। ঢাকায় বৃষ্টি হয়েছে ১৮ মিলিমিটার।

বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা অনেকটা কমে গিয়ে সারাদেশেই শীতের আবহ তৈরি হয়। আবহাওয়া বিভাগও তাপমাত্রা ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল।

রোববার সকাল থেকে ঢাকায় দফায় দফায় বৃষ্টি হয়েছে। সন্ধ্যার পরের বৃষ্টিতে চরম বিপত্তিতে পড়েন অফিস থেকে ঘরমুখী নগরবাসী। তবে সোমবার সকাল থেকেই ঢাকার আকাশে রোদের আধিপত্য। মাঝে মাঝে মেঘ এসে ক্ষণিকের জন্য রোদ মুছে দিচ্ছে।

সোমবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস তুলে ধরে আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির জানান, ঢাকা, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল এবং চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।

এ সময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী দিনদিনের মধ্যে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা হ্রাস পেতে পারে এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।

সোমবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল রাজশাহীতে। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রোববার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় ছিল বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।

Jag/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে