বিডি নীয়ালা নিউজ(১৪ই আগস্ট ২০১৬ইং)-ডেস্ক রিপোর্টঃ তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘শুধু শোকের মাসে ইতিহাস চর্চা করলে হবে না, সারা বছরই ইতিহাস চর্চা করতে হবে। তাহলে দেশে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের উত্থান ঘটবে না।’
রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সচিবালয়ে বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবনের আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে সচিবালয় ক্লিনিকের সামনে এ চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে তথ্য অধিদপ্তর।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘৭১ এর খুনিরাই ৭৫ এর খুনি। ৭১ এ স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজিত খুনিরাই প্রতিশোধ নিতে ৭৫ এ বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে খুন করে। এই হত্যাকাণ্ড পৃথিবীর জঘন্য এবং নির্মম হত্যাকাণ্ড।’
তিনি জানান, ৭১ এর খুনিরা জানে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছে। এই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে চলছিল, তাকে কোনোভাবেই দমিয়ে রাখা যাবে না। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাও থামানো যাবে না, তাই তারা সুপরিকল্পিতভাবে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে।
‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিল। এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। স্বাধীনতার পর দেশে রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের যে ধারার শুরু হয়েছিল এ হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে সেটিকে পরিবর্তন করে খুনিরা। এরপর মনগড়া পদ্ধতিতে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে চেয়েছিল’ বলেন হাসানুল হক ইনু।
৭৫ এর খুনিরা জিয়া ও মোশতাকের অনুসারী দাবি করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জিয়া ও মোশতাক দেশে চারটি তত্ত্ব দিয়ে গেছে। সেই চারটি হলো সামরিক তত্ত্ব, সাম্প্রদায়িতকতা তত্ত্ব, বিএনপি-জামায়াত বৃষবৃক্ষ তত্ত্ব ও রাজাকার তত্ত্ব।’
তিনি বলেন, ‘তাদের দেওয়া সামরিকতন্ত্র, রাজাকারতন্ত্র, বিষবৃক্ষ বিএনপি ও জামায়াত এবং সাম্প্রদায়িকতার অভিশাপ থেকে দেশ ও জাতিকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সে চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছি।’
‘এ দেশের ধর্মীয়, সামাজিক ও সংস্কৃতির কোনো কিছুতেই জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ আশ্রয় পায় না’ বলেন ইনু।
পরে তিনি বঙ্গবন্ধুর ওপর আলোকচিত্র প্রদর্শনী ঘুরে ঘুরে দেখেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন তথ্য অধিদপ্তরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা একেএম শামীম চৌধুরী, অতিরিক্ত প্রধান তথ্য কর্মকর্তা ইশতাক হোসেন প্রমুখ।
risingbd