ডেস্ক রিপোর্ট: দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী এন্ড্রু কিশোরের চিকিৎসা শুরু হয়েছে সিঙ্গাপুরে। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার প্রথম ধাপে চলছে বিভিন্ন পরীক্ষা। কিছু পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া গেছে। আরও কিছু বাকি আছে। সেসব পাওয়ার পর চিকিৎসকেরা সিদ্ধান্ত নেবেন। জানা গেছে, পরীক্ষার জন্য তাঁকে আরও দুই দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হবে। গত সোমবার সকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন এন্ড্রু কিশোর। এ সময় সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী এবং আরেকজন সংগীতশিল্পী জাহাঙ্গীর সাঈদ।

সিঙ্গাপুর থেকে জাহাঙ্গীর সাঈদ জানিয়েছেন, এন্ড্রু কিশোরের কিডনি ও হরমোনজনিত সমস্যা ছিল। এ কারণে তাঁর ওজন হ্রাসসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। এড্রেনাল গ্লান্ড একটু বড় হয়ে গেছে। এখন তাঁর আরেকটি সমস্যা হলো জ্বর। প্রতিদিন তাঁর জ্বর আসছে। তা নিয়ে চিকিৎসকেরা চিন্তিত। কেন এভাবে জ্বর আসছে, তার সমাধান খুঁজছেন চিকিৎসকেরা। এ ছাড়া তাঁর শরীরের কিছু নমুনা বায়োপসির জন্য পাঠানো হয়েছে ল্যাবে। সে রিপোর্ট পাওয়া যাবে ছয় সপ্তাহ পর।

৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে এন্ড্রু কিশোরকে আমন্ত্রণ জানান। এ সময় তিনি এন্ড্রু কিশোরের শারীরিক সমস্যার খোঁজ নেন এবং তাঁর হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে জাহাঙ্গীর সাঈদ লিখেছেন, ‘এন্ড্রু কিশোর একজন জাতীয় সম্পদ, হাজারো জনপ্রিয় গানের শিল্পী। যিনি বাংলা গান, বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের গানকে করেছেন অনেক সমৃদ্ধ। যুগে যুগে এন্ড্রু কিশোর একজনই আসবেন।’

এন্ড্রু কিশোরের খুব জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে ‘জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প’, ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস’, ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’, ‘আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি’, ‘আমার বুকের মধ্যে খানে’, ‘আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন শুনেছিলাম গান’, ‘ভেঙেছে পিঞ্জর মেলেছে ডানা’, ‘সবাই তো ভালোবাসা চায়’, ‘পড়ে না চোখের পলক’, ‘পদ্মপাতার পানি’, ‘ওগো বিদেশিনী’, ‘তুমি মোর জীবনের ভাবনা’, ‘আমি চিরকাল প্রেমের কাঙাল’ প্রভৃতি। বাংলা চলচ্চিত্রের গানে অবদান রাখার জন্য তিনি কয়েকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন।

P/A/N


একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে