ডেস্ক রিপোর্ট: গেল পাঁচ বছরে সিঙ্গাপুরে যারা ক্যাসিনোতে গিয়ে জুয়া খেলেছেন তাদের তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশন। দুর্নীতি দমনে ও অর্থ পাচার রোধে দুদকের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বিশ্লেষকরা মনে করেন এসব তথ্য সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে অর্থপাচার বন্ধ হবে। তবে সিঙ্গাপুরে ক্যাসিনো বৈধ হওয়ায় এবং তথ্য প্রধান ব্যবসায়িক স্বার্থের পরিপন্থি হওয়ায় কূটনীতিক তৎপরতাও প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা।
ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর অভিযুক্তদের অবৈধ সম্পদের খোঁজে মাঠে নামে দুদক। সম্রাট, জিকে শামিমসহ অনেকের বিরুদ্ধে বিদেশে ক্যাসিনোতে লাখ লাখ ডলার লেনদেনের তথ্য উঠে আসে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি দমন সংস্থা ‘করাপ্ট প্র্যাকটিসেস ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো’র পরিচালককে ক্যাসিনোতে যাওয়া বাংলাদেশিদের তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছে দুদক। সেখানে ক্যাসিনোতে বিদেশিদের প্রবেশ করতে হলে পাসপোর্টের তথ্য দিয়ে ঢুকতে হয়। তাই গেল পাঁচ বছরে সিঙ্গাপুরের ম্যারিনা বেসহ অন্য যেসব ক্যাসিনোতে বাংলাদেশিরা জুয়া খেলেছেন তথ্য চাওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন বলেন, তারা দলকে ব্যবহার করে বিদেশে টাকা পাচার করেছেন। এটা আমাদের অর্থনীতির জন্য খারাপ হয়েছে। কারা এ কাজ করেছে তাদের নাম পরিচয় জানতে পারলে দেশেরই উপকার হবে।
জাতিসংঘের দুর্নীতিবিরোধী কনভেনশনের রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সই করেছে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর। তবে দেশটিতে জুয়া খেলা বৈধ হওয়ায় আইনি জটিলতা এড়াতে কূটনীতিক তৎপরতার কথা বলছেন বিশ্লেষকরা।
দুদকের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান বলেন, ব্যাপারটা সহজ হবে না। তারা তথ্য দেবে কিনা সে ব্যাপারে আমার সন্দেহ আছে। তবে সরকারি পর্যায়ে চাপ প্রয়োগ করলে সফলতা আসলেও আসতে পারে।
দেশের অনেক হাই প্রোফাইল ব্যক্তি সিঙ্গাপুরে বিভিন্ন ক্যাসিনোতে জুয়া খেলতে যেতেন বলে দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে বেরিয়ে আসে। সে তথ্যের সত্যতা যাচাই করতেই দুদক এই চিঠি পাঠিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন।
P/B/A/N