flood sirajganj

বিডি নীয়ালা নিউজ (৩০ই জুলাই  ২০১৬) মারুফ সরকার (বিভাগীয় প্রতিনিধি): উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সিরাজগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি হয়েছে। সিরাজগঞ্জ শহররক্ষা বাধ এখন হুমকির সম্মুখিন ।আতংঙ্ক বিরাজ করছে শহরবাসীর মধ্যে ।বাধ এলাকায় পুলিশ মোতায়োন করা হয়েছে ।বন্যা দূর্যোগ মোকাবেলায় ত্রান ও পূর্নবাসন মন্ত্রনালয় সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসকসহ সকল কর্মকর্তার ছুটি বাতিল ঘোষনা করা হয়েছে।জেলা প্রশাসক মোঃ বিল্লাল হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ।গত ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর পানি ৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে শনিবার দুপুরে বিপদসীমার ৯১ সেন্টি মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।যমুনা নদীর তীরবর্তী ৫টি উপজেলাসহ ৭টি উপজেলার ৪৬ টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে।নি¤œঞ্চলের  আড়াই লাখ মানুষ এখন পানি বন্দি হয়ে পড়েছে । অব্যহত ভাবে পানি বৃদ্ধির কারনে সিরাজগঞ্জের ৫ উপজেলার চরাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি এখন ভয়াবহ রুপ নিচ্ছে ।বহু পরিবার স্থানীয় ওয়াপদার বাধ ও ঘরের মাচাংসহ বিভিন্ন উচুঁ স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন ।বন্যা কবলিত এলাকার শতশত পরিবার দূর্ভোগ পোহাচ্ছে । এদিকে পানি বৃদ্ধির কারনে প্রতিদিনই জেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প¬াবিত হয়েছে। বিশেষ করে চরের মানুষের অবস্থা এখন খুবই নাজুক। খাবার ও পানির সংকটে বন্যা কবলিতরা এখন দুর্বিসহ জীবন যাপন করছে। সরকারী ভাবে যে ত্রান দেয়া হয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল বলে বানভাসী মানুষেরা জানিয়েছে। এদিকে যমুনার পানি বৃদ্ধির পর থেকে সদর, বেলকুচি ও চৌহালীতে শুরু হয়েছে নদী ভাঙ্গন। বিশেষ করে চৌহালীতে এখন ভাঙ্গন মারাত্বক আকার ধারন করেছে। এই উপজেলার ব্রাম্মনগ্রাম, ঘোরজান, পাচিল সহ বেশ কয়েকটি গ্রামে শুরু হয়েছে মারাত্বক নদী ভাঙ্গন। ইতিমধ্যে এ সকল গ্রামের শতাধিক বাড়িঘর যমুনায় বিলীন হয়ে গেছে। অনেকে তাদের বাড়ি ঘর রক্ষা করতে না পেরে পরিবার পরিজন নিয়ে এখন খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। ভাঙ্গন কবলিতরা সব কিছু হারিয়ে এখন দিশেহারা। বন্যাকবলিত এলাকার বিভিন্ন স্থানের লোকজন পরিবার পরিজন নিয়ে অর্ধাহারে আর অনাহারে জীবন যাপন করছেন।জেলা ত্রাণ ও পূর্নবাসন কর্মকর্তা ওয়ালি উদ্দিন জানান, সিরাজগঞ্জ সদর, কাজিপুর, বেলকুচি, শাহজাদপুর,চৌহালী,তাড়াশ ও উল্লাপাড়া উপজেলার প্রায় ৪৬টি ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামের কমপক্ষে সাড়ে ২৫ হাজার পরিবারের আড়াই  লক্ষাধিক মানুষ বন্যা কবলিত হয়েছে। এছাড়া ১৫শটি বাড়িঘর আংশিক ও পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যার্তদের জন্য ১৩৯টি কেন্দ্রে আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এ পর্যন্ত জেলার ৭টি উপজেলার বন্যা কবলিতদের মাঝে ৩৭০ মেট্রিকটন চাল ও ১৩ লক্ষ টাকা বিতরন করা হয়েছে। সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারী জানালেন, উপজেলার কয়েকটি গ্রামে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। নদীতে তীব্র স্রোতের কারনেই এই ভাঙ্গন চলছে। এই মুহুর্তে নদীতে প্রচুর পানি থাকার কারনে ভাঙ্গন রোধে কোন ব্যবস্থা নেয়ার উপায় নেই। তবে চৌহালী উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডকে এ ব্যাপারে অবহিত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে