স্টাফ রিপোর্টার।।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওয়ালিফ মন্ডলের বিরুদ্ধে সীমাহীন অনিয়ম ও দুর্নীতি করে কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে দেশের তৃণমূলে উন্নয়ন ও দরিদ্রদের সহায়ক হিসেবে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার নানা শিরোনামে অর্থ বরাদ্দ হয় উপজেলা ও জাতীয় সংসদ সদস্যের অনুকূলে। উন্নয়নের জন্য ত্রাণ, দুর্যোগ ও পুনর্বাসন এবং স্থানীয় সরকার পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) উপজেলা পর্যায়ে বরাদ্দ অর্থ থেকে, সাধারণ ও বিশেষ নামে পরিচিত। একইভাবে বরাদ্দ হয় প্রত্যেক সংসদ সদস্যের অনুকূলে। উপজেলার অনুকূলে বরাদ্দ অর্থ সমন্বয় কমিটির সভার মাধ্যমে বণ্টন হয় বিভিন্ন ইউনিয়নভুক্ত এলাকার প্রকল্পের নামে।
যা বাস্তবায়নের দায়িত্বে জনপ্রতিনিধিরা থাকলেও দেখভালের দায়িত্ব থাকে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার ওপর। একই কর্মস্থলে দীর্ঘদিন বহাল থাকার সুবাদে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় বদলি ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে থাকে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাদের। কিন্তু স্থানীয় সংসদ ও উপজেলা চেয়ারম্যানের আশীর্বাদ থাকার কারণে সুন্দরগঞ্জে খুঁটি গেড়ে থেকে যান ওয়ালিফ মন্ডল।
বদলি তো দূরের কথা তিনি সাড়ে ৩ বছরে ফ্যাসিবাদ সরকারের দালাল সেজে ঠিকাদারদের মতো সরকারি প্রকল্পে ১৫ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নভুক্ত গ্রামাঞ্চলের স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির, কবরস্থান, শ্মশানঘাট, রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট স্থাপন, মেরামত ও সংস্কারের জন্য সরকারি ও বিভিন্ন সংস্থার বরাদ্দ অর্থের সিংহভাগ টাকা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিদের চেয়ে এগিয়ে আছে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওয়ালিফ মন্ডল।
এ ব্যাপারে (পি.আই.ও) ওয়ালিফ মন্ডল বলেন, অভিযোগের একটিও সত্য নয়।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মুকুল মিয়া জানান, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে জন্য গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার প্রকল্পে সরকারের বরাদ্দকৃত ২১ টন ১০০ কেজি মেট্রিকটন গম যার আনুমানিক মূল্য ৭ লক্ষ্য ৩৮ হাজার টাকা কাগজ কলমে ৫ সদস্যের কমিটি করে (পি.আই.ও.) সহ সম্পূর্ণ টাকা আত্মসাতের করেছেন ।
তিনি বলেন, আমি আমার গ্রামবাসীকে সাথে নিয়ে ইতোমধ্যে ১৪৮ জনের গণসাক্ষর নিয়ে আমি দুদকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করার প্রস্তুতি নিচ্ছি প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এখনি সময় এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার।
আরও অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, সরকারের যত প্রকল্প লুটপাট করেছে সব গুলো তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন সুন্দরগঞ্জ বাসী।