বিডি নীয়ালা নিউজ(৩০জানুয়ারি১৬)-ঢাকা প্রতিনিধিঃ আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে সুপ্রিমকোর্টের মামলার কার্যতালিকা (কজলিস্ট) আর কাগজে লিখে প্রকাশ করা হবে না- বৃহস্পতিবার দুপুরে সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম এমন তথ্য জানালেও সে সিদ্ধান্তে পরে পরিবর্তন আসে। আর এ সিদ্ধান্ত বদলে মূলত কলকাঠি নেড়েছেন সুপ্রিমকোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা। গতকাল বিকেলে তাদের অনুরোধে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা সিদ্ধান্ত দেন, ১ ফেব্রুয়ারির বদলে ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে কজলিস্টে কাগজের কারবার বাদ হবে। সেদিন থেকে কজলিস্ট আর কাগজে লিখে প্রকাশ করা হবে না, প্রকাশ হবে শুধুই অনলাইনে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কাগজে কজলিস্ট প্রকাশ বাতিলের সিদ্ধান্ত হওয়ার পর ওই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে এককাতারে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। তাদের এই একতা বিচারপ্রার্থীদের মনে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে: আর্থিক সুবিধার বিষয়টি মাথায় রেখেই কি এককাতারে শামিল হয়েছেন বাঘা বাঘা আইনজীবীরা?
কেবল অনলাইনে কজলিস্টের যারা বিরোধিতা করেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম- বাংলাদেশ বার কাউন্সিরের ভাইস চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট আব্দুল বাসেত মজুমদার, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সুপ্রিমকোর্ট বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা ও সুপ্রিমকোর্টের সাবেক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম, সুপ্রিমকোর্ট বারের বর্তমান সম্পাদক ও বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
ধীরে ধীরে দেশের প্রতিটা ক্ষেত্রেই যখন ডিজিটালাইজেশনের ছোঁয়া লাগছে, সেখানে আইনজীবীরা কেন এখনো পিছিয়ে থাকতে চাচ্ছেন- সে প্রশ্ন সুপ্রিমকোর্ট সংশ্লিষ্ট সংবাদকর্মীদের।
কাগজের কজলিস্ট চালু রাখার দাবিতে গতকাল আইনজীবীরা এমন কথাও বলেছিলেন, ‘শুধু অনলাইন কজলিস্ট চালু রাখলে হবে না। পাশাপাশি কাগজের কজলিস্টও চালু রাখতে হবে। যদি এর ব্যতিক্রম হয় তাহলে আইনজীবীরা আদালত বর্জন করবেন।’
এরপর অবশ্য প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করে কাগজের কারবার আরো ১৫ দিন চালিয়ে যাওয়ার নিশ্চয়তা তারা পেয়েছেন।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডকোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন গতকাল বলেছিলেন, ‘এই কজলিস্ট ছাপানো ইস্যুতে প্রথমবারের মতো আইনজীবীরা ঐক্যবদ্ধ। আমাদের একটাই দাবি, কাগজের কজলিস্ট থাকবে।’
কাগজে কজলিস্ট ছাপানো বাতিল হয়ে গেলে কী অসুবিধা হবে? তার একটা জবাব দিয়েছেন খন্দকার মাহবুব। তিনি বলছেন, আমাদের (আইনজীবীদের) তেমন কোনো সমস্যা নেই। সমস্যা হবে মূলত আইনজীবীদের সহকারীর। যেহেতু কজলিস্টে ওয়েবসাইটে দেখার অভ্যাস আমাদের নেই, এজন্য কিছুদিন এটা ব্যবহারে সমস্যা হবে।
প্রায় একই কথা বলেছেন সুপ্রিমকোর্ট বারের সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহববু উদ্দিন খোকন। তিনি বলেন, আইনজীবীরা কার্যতালিকা দেখেন না, মূলত এটি দেখেন আইনজীবীদের সহকারীরা। আইনজীবীদের সহকারীরা অল্পশিক্ষত, তারা অনলাইন সম্পর্কে ভালো বুঝবেন না। এজন্য কাগজের কজলিস্ট থাকা উচিৎ।
এর আগে প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, উচ্চ আদালতের সব কার্যক্রমের তথ্য অনলাইনে পাওয়া গেলে মামলা শুনানির তারিখ ও এর ফলাফল নিয়ে অতীতের মতো আইনজীবীদের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হবে না। পর্যায়ক্রমে পুরো বিচারিক কার্যক্রমকে ডিজিটাল করা হবে। বিশ্বের যেকোনো স্থানে বসে মামলা করা, মামলার তথ্য জানা বা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাক্ষ্য প্রদান ও প্রমাণ হাজির করা যাবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম জানান, কাগজে ছাপানো কজলিস্টের কারণে প্রতিবছর ২১ কোটি টাকা খরচ হয়। আর যে পরিমাণ কাগজ ব্যবহার হয় তার জন্য প্রতিদিন গড়ে কমপক্ষে ৬৫টি গাছ কাটা পড়ে।
Wow, marvelous blog format! How lengthy have you ever
been blogging for? you make running a blog glance easy.
The overall look of your web site is wonderful, as neatly as the content material!
You can see similar here najlepszy sklep