জয়নাল আবেদীন হিরো, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিিঃ প্রচারনা না থাকায় অনেকটা নিরবে নীলফামারীর সৈয়দপুরে দিনব্যাপী প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারী) বেলা সাড়ে ১১ টায় শহরের রেলওয়ে ফাইভ স্টার মাঠে প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা:শ্যামল কুমার রায়ের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভায় এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য রাবেয়া আলিম।
এ সময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন, ভাইস চেয়ারম্যান আজমল হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সানজিদা বেগম লাকী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহসিনুল হক মহসিন, জেলা প্রশিক্ষন কর্মকর্তা ডাঃ রাশেদুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। সভা শেষে দুপুর দেড়টায় প্রদর্শনী আনুষ্ঠানিক ভাবে সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।
জানা যায়, দুই লাখ ৪০ হাজার টাকা ব্যয়ে উপজেলা প্রাণীসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল ডেইরি প্রকল্পের সহযোগিতায় প্রদর্শনীটির ষ্টলগুলোতে কোন দর্শনার্থী ছিল না। তাই অনেকটা নিরবে এ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ২৬ জন খামারী অধিক দুগ্ধদানকারি হলষ্টিন, শাহিওয়াল গরু, ষাড়, যমুনা পাড়ি ও কাশ্মিরি ছাগল, ব্রয়লার, সৌখিন পাখি,কবুতর, আধুনিক পদ্ধতিতে প্রতিপাালত দেশি মুরগী, নেপিয়ার ঘাস, পাখি উদ্ধার কেন্দ্র, গরুর উন্নত প্রজনন, খাদ্য এবং চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার স্টল দিয়ে প্রদর্শন করেন।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি এ প্রদর্শনী উদ্বোধনের পরই বিদায় নেয়। এর পর-পরই দুপুর দেড়টায় উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা: শ্যামল কুমার রায় এ প্রদর্শনী আনুষ্ঠানিক ভাবে সমাপ্তি ঘোষনা করেন। তবে উপজেলা প্রাণীসম্পদ কার্যালয়ের নিরব এ প্রদর্শনীর ব্যবস্থা নিয়ে সচেতন মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
শহিদুল ইসলাম নামে এক শিক্ষক জানান, দেশে আমিষ উৎপাদনে ঘাটতি রয়েছে। জনসাধারনকে উৎসাহিত করতে মুলত: এ প্রদর্শনী। তবে কেউ টের পেল না। নেই কোন মাইকিং কিংবা প্রচারনা। মাঠের আলোচনা সভায় সীমাবদ্ধ থাকল। এতে কখনই ডেয়রী, পোল্ট্রি কিংবা অন্যন্য খামার করার উৎসাহ বাড়বে না।
আ: আউয়াল নামে এক প্রকৌশলী জানান, দেশ ধান,গম,মাছ ও সব্জি চাষে বিশ্বে ভালো অবস্থানে রয়েছে। শুধু আমরা আমিষ উৎপাদনে সামান্য পিছনে রয়েছি। তাই নতুন খামারি সঋষ্টিতে সফল খামারীদের উৎপাদিত সামগ্রি প্রদর্শন ব্যবস্থাপনাই এর সংখ্যা বাড়াতে পারে। অথচ সংশ্লিষ্টরা রুটিন মাফিক পালন করলেন সরকারি এ কর্মসুচী। এতে দেশের আমিষের ঘাটতি কখনই পুরন হবে না।
জানতে চাইলে সৈয়দপুর প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা:শ্যামল কুমার রায় বলেন, সামর্থ্যরে সবটুকু উজার করে চেষ্টা করছি। কোন ঘাটতি রাখি নাই। বরাদ্দের সবটুকু দিয়ে সরকারি নির্দেশ মোতাবেক প্রদর্শনী আয়োজন করেছি।