জয়নাল আবেদীন হিরো, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌর পাইকারী সবজি বাজার এখন মরুভূমিতে পরিনত হয়েছে । অথচ এক সময়ে এ বাজারে ক্রেতা বিক্রেতার কারণে সব সময় জনসমাগম ছিল।
তিল ধরনের জায়গা ছিল না। ক্রেতারা তাদের চাহিদা মত কাঁচা বাজার সহজ মূল্যে পেত। তেমনি ব্যবসায়ীরা এখানে ব্যবসা করে পরিবার চালাতো। আর এখান থেকে পৌর পরিষদ মোটা অংকের রাজস্ব পেত।
পরবর্তীতে একটি পক্ষের জোরালো ভূমিকায় বাজারটি বাইপাস সড়কে চলে যায় । চলে যাওয়ার পর ও অনেক ব্যবসায়ী এখানেই ব্যবসা করেন। কিন্তু পরবর্তীতে বাঁধা শুরু হয় । এমনকি গ্রাম থেকে আসা কৃষকদের মালামাল আনতে বাঁধা দান করা হয় । ফলে আস্তে আস্তে বাজারটিতে ক্রেতা এবং গ্রাম আসা কৃষকরা মালামাল আনা বন্ধ করে দেয়। শুরু হয় উভয় পক্ষের আন্দোলন ও মামলা। এতে বাজারটির কয়েকজন ব্যবসায়ী জেল-হাজতে যায় । এ কারণে বাজারটির ব্যবসায়ীরা দূবল হয়ে পড়ে ।
এ কারণে তাদের নেতৃত্বের সমস্যা সৃষ্টি হয় । এতে তারা খেই হারিয়ে ফেলে। এ বাজারের ব্যবসায়ীরা তাদের পুঁজি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তারা বিভিন্ন সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করতো। এখন ব্যবসা বন্ধের কারণে কিস্তি দিতে পারছে না। একদিকে সংস্থার কিস্তির চাপ। অপরদিকে পরিবার পরিজন নিয়ে খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবন যাপন।
বছর খানেক পর ব্যবসায়ীরা একত্রিত হয়ে গত রমজান মাসে পূণ রায় বাজারটি চালুর করার দাবীতে পৌর মেয়র বরাবর আবেদন করেন।
আবেদনে সুপারিশ করেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাঃ সম্পাদক মহসীনুল হক মহসীন,উপজেলা সহ-সভাপতি প্রকৌশলী রাশেদুজ্জমান রাশেদ,পৌর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাবুসহ অনেকে। শোনা যাচ্ছিল পূণ রায় বাজারটি চালু হচ্ছে । এ খবরে ব্যবসায়ীদের মধ্যে কিছুটা হলে আবার ও সুখের বাতা আসছে বলে মনে হচ্ছিল ।
কিন্তু কিছু দিন পর সে খবরটি অদৃশ্য কারণে হারিয়ে যায়। ফলে আবার ও ব্যবসায়ীদের বাজারটি চালুর প্রক্রিয়াটি বন্ধ হয়ে যায় । এতে ভেঙে পড়ে ব্যবসায়ীরা।
গতকাল বাজারটিতে সরেজমিনে গেলে দেখা যায় কয়েকজন ব্যবসায়ী বসে আছে এবং ২/৩ ক্রেতা বাজার নিচ্ছে । দীঘ দিন বন্ধ থাকার কারণে বাজারের অনেক গোডাউন ও দোকানে বিভিন্ন জাতীর ঘাস গজিয়েছে।
অনেক ক্রেতা জানান, বাইপাই সড়কের বাজার যেতে অনেক সময় লাগে এবং এসখানে যাওয়া খুবেই ঝুঁকিপূণ। যেকোন সময় সড়ক দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে । আমরা চাই দুটি বাজারেই চালু হোক।
এ ব্যাপারে কাঁচা সবজি বাজার সমিতির সম্পাদক মাকসুদ আলম গোল্ডেন ও ক্যাশিয়ার সাখাওয়াত হোসেন লেবু জানান,দীর্ঘ ২৫/৩০ বছর ধরে এখানে সুনামের সহিত ব্যবসা করে আসছি। হঠাৎ বাজারটি বাইপাই সড়কে যাওয়ায় আমরা পথে বসেছি। আমাদের পুঁজি শেষ। আমরা এখন বেকার হয়ে পড়েছি।পরিবার নিয়ে কষ্টে আছি।
ব্যবসা না থাকলে ও প্রতিদিন এখানে এসে বসে থাকি। কবে সুদিন আসবে।