151215092943_saudi_arabia_640x360_afp_nocredit

সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ৩৪টি মুসলিম প্রধান দেশ নিয়ে একটি নতুন সামরিক জোট গঠনের ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরব।

বাংলাদেশও এই জোটে যোগ দিয়েছে।

তবে সৌদি নেতৃত্বে এই জোটের কাজ কি হবে, সদস্য হিসাবে বাংলাদেশের ভূমিকা কি হবে সে সম্পর্কে কম-বেশি অজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের কর্মকর্তারা।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, প্রাথমিক আলোচনার ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। রিয়াদের কাছে এই উদ্যোগের বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়েছে।

“প্রাথমিক আলোচনায় সৌদিআরব আমাদের যে ধারণা দিয়েছে, তা হচ্ছে এটা যুদ্ধ করার সামরিক জোট নয়। এটি মূলত গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়ের একটি কেন্দ্র হবে। এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের ব্যাপারেও গুরুত্ব দেয়া হবে।”

“সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রী আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রীকে জানিয়েছেন যে, তারা রিয়াদে একটি সন্ত্রাসবিরোধী কেন্দ্র করতে চান। সন্ত্রাস ও উগ্র সহিংসতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের জিরো টলারেন্স এবং যে অবস্থান রয়েছে, সেজন্য তারা বাংলাদেশকে এই উদ্যোগে রাখতে চায়। ফলে আমরা এই উদ্যোগে যোগ দিয়েছি।”

কিন্তু সৌদি আরবের ঘোষণায় নতুন এই জোটকে সন্ত্রাস বিরোধী সামরিক জোট হিসেবে বর্ননা করা হয়েছে।

রিয়াদে এক সংবাদ সম্মেলনে সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রী যুবরাজ মোহামেদ বিন সালমান বলেছেন, এই জোট ইরাক, সিরিয়া, মিশর আর আফগানিস্তানে সন্ত্রাসী ও জঙ্গীদের বিরুদ্ধে লড়াই করবে।

সৌদি মন্ত্রী বলেন, ইসলামিক দেশগুলো এই রোগের (চরমপন্থা) সঙ্গে লড়ছে যা এসব দেশের ভাবমূর্তিও ক্ষুন্ন করছে। “এখন প্রতিটি দেশ আলাদা ভাবে এর সঙ্গে লড়ছে। কিন্তু এই জোটের মাধ্যমে দেশগুলো একত্রে লড়াই করবে।”

তবে এর বেশি জানাননি যুবরাজ সালমান।

BBC Online

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে