আসাদ হোসেন রিফাতঃ লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় ঢাকা-বুড়িমারী মহাসড়কে বিভিন্ন স্থানে গর্ত হয়েছে। এ সব ঝুঁকিপূণ স্থানে জীবনের ঝুকি নিয়ে চলাচল করছে পথচারীগণ। অনেকে বলছেন সড়ক বর্তমানে যেন মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। সচেতন মহল বলছেন, পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকার কারণে কম সময়ের মধ্যে সড়কে গর্ত সৃষ্টি।
সরেজমিনে হাতীবান্ধা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখাগেছে, বুড়িমারী স্থলবন্দর থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার পণ্যবাহী ট্র্যাক হাতীবান্ধা হয়ে দেশেরে বিভিন্ন স্থানে যায়।
সেই সাথে সড়কে নিয়মিত চলাচল করে যাত্রীবাহী বাস, মাইক্রোবাস,সিএনজি, ইজিবাইক (অটো গাড়ী), ভ্যান,রিক্সা সহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন।
অপর দিকে হালকা একটু বৃষ্টি হলে সড়কে জমে থাকে পানি,নেই কোন পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা ফলে পথচারীদের চলাচলে ভোগান্তি বেড়ে যায় কয়েক গুন। যার কারণে প্রতিনিয়ত সড়কে ঘটছে দূর্ঘটনা।
ইজিবাইক (অটো) চালক আছিমুদ্দিন, রমজান আলী বলেন, বিশেষ করে হাতীবান্ধার বড়খাতা বাজার,হাতীবান্ধা সোনালী ব্যাংক চত্তর , তেল পাম্প,পারুলিয়া ভোটমারী বাজার সহ একাধীক স্থানে চলাচলের একেবারেই অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। যার কারণে প্রতিদিন কোন না কোন স্থানে ঘটছে সড়ক দূর্ঘটনা।
যানজটতো প্রতিদিনের সঙ্গী এ যেন সড়ক না মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। একাধিক যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী গাড়ীর চালক গণের দাবী জরুরী ভিত্তিতে সড়কটি মেরামত করা প্রয়োজন। একাধীক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অনেকে বলেছেন, রাস্তায় গর্ত হওয়ায় এসব স্থানে যানজট সৃষ্টি হয়, আমরা যথাসময়ে স্কুল/কলেজে যেতে পারিনা।
পাঁচ মিনিটের রাস্তা অনেক সময় এক ঘন্টারও বেশী সময় লাগে। কোন কোন দিন দেখা যায় আমরা যানজটে পরে আছি অপর দিকে স্কুলে ক্লাস শুরু হয়। এসএসসি পরীক্ষার্থী তিথী বলেন, একদিকে সড়কে গর্ত অপর দিকে যানজট থাকায় সময়মত পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছাতে পারি না। এ্যামবুলেন্স এর চালক অহেদ আলী বলেন, আমরা অসুস্থ্য রোগীকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য যাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কিন্তু সড়কের বেহাল অবস্থায় যানজট সৃষ্টি হয় অনেক সময় দেখা যায় মেডিকেলে পৌঁছার আগে প্রস্যুতি নারীদের গাড়ীতে সন্তান জন্ম হয়। অনেক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এসব যেন দেখার কেউ নেই।
এলাকার সচেতন মহল বলছেন, পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকার কারণে কম সময়ের মধ্যে সড়কে গর্ত সৃষ্টি হয়। পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা থাকলে সড়কে এ বেহাল অবস্থা হতো না। পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা ও সড়ক সংস্কার করা জরুরী প্রয়োজন।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খালিদ সাইফুল্লাহ সরদার বলেন, মহাসড়কের প্রায় ৪ কিলো রাস্তা সংস্কার কাজ চলমান। বর্তমানে পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা বাজারের কাজ চলমান রয়েছে পর্যাক্রমে বাকী স্থানের সংস্কারের কাজ হবে।