ডেস্ক রিপোর্ট : মৌসুমে ত্বক খসখসে হয়ে যায়্। সমাধান হিসেবে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের লোশন, ক্রিম এবং ময়েশ্চারাইজারের ব্যবহার।
তবে হাত দিয়ে বিভিন্ন কাজ করতে হয়, ফলে শরীরের এই অংশে পানির সংস্পর্শেও আসে বেশি। আর যতই ক্রিম মাখা হোক পানিতে ধুয়ে যাবেই। তাই হাতও হয়ে যায় খসখসে অমসৃণ।
এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদন অবলম্বনে বেশ কয়েকটি প্রচলিত পন্থা এখানে দেওয়া হল।
বাদামি চিনি ও অলিভ অয়েল: উপাদান দুটি একই পরিমাণে মিশিয়ে দুতিন দিন পরপর হাতে মাখতে পারেন। হাতের চামড়ার উপর দিয়ে প্রতিদিন অনেক ধকল যায়। ফলে হাত থেকে মৃতকোষ ও মরা চামড়া নিয়মিত দূর করা না হলে তা জমা হতে থাকে। বাদামি চিনি এই মরা চামড়া ও মৃতকোষ অপসারণ করে। আর অলিভ অয়েল ধরে রাখে আর্দ্রতা।
ডিম ও গোলাপজল: তিন-চারটি ডিমের কুসুম ভালোভাবে ফেটে নিয়ে তাতে কয়েক ফোঁটা গোলাপজল যোগ করতে হবে। এই মিশ্রণে হাত ডুবিয়ে ১০ মিনিট ধরে দুহাত ভালোভাবে ডলতে হবে যাতে মিশ্রণটি হাতের প্রতিটি অংশে ভালোভাবে পৌঁছায়। পরে ধুয়ে হাত শুকিয়ে নিতে হবে।
প্রোবায়োটিক: বিজ্ঞানীরা কাকতালীয়ভাবে আবিষ্কার করেন যে জাপানি ওয়াইন ‘সাকি’ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সবচাইতে বয়স্ক কর্মীদের হাতও শিশুর হাতের মতো নরম। পরে জানা যায় এর পেছনে দায়ি ‘সাকি’তে থাকা প্রোবায়োটিক, যা ত্বকের নমনীয়তা ধরে রাখে দীর্ঘদিন।
স্যানিটাইজার হিসেবেও প্রোবায়োটিক অত্যন্ত কার্যকর। তাই ময়েশ্চারাইজের পরিবর্তে ননীযুক্ত দুধের দই হাতে মাখতে পারেন। পরে কাপড় কিংবা টিস্যু দিয়ে আলতোভাবে চাপ দিয়ে শুকিয়ে নিতে হবে।
ক্রিম কিংবা পেট্রোলিয়াম জেলি: রাতে সকল গৃহস্থালী কাজ শেষ করে ঘুমানোর ঠিক আগে হাত ও পায়ে ভালোভাবে কোল্ড ক্রিম অথবা পেট্রোলিয়াম জেলি মাখিয়ে নিন। অস্বস্তি না হলে হাত ও পায়ে মোজা পরে ঘুমাতে পারেন। এতে সারারাত হাত-পা আর্দ্র থাকবে।