২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩২ মাসে প্রশাসন ক্যাডারের ৫৫ জন কর্মকর্তাকে লঘু ও গুরু দণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত বিএসআরএফ সংলাপে তিনি এ তথ্য জানান।
কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আপিল বিধিমাল ২০১৮ অনুযায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ পূর্বক বিধিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রশাসন ক্যাডারের ৫৫ জন কর্মকর্তাকে লঘু ও গুরু দণ্ড দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য ৪৯টি মামলা চলমান আছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এসিল্যান্ড অফিসে অনেক ঝামেলা ছিল, এখন ডিজিটালাইজেশনের কারণে সেই ঝামেলা নেই। এখন ৯৫ শতাংই কর্মকর্তাই সফল হচ্ছেন। কাউকেই তার আইনি এখতিয়ারের বাইরে আচরণ করা উচিত নয়।
সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে রাজনীতিবিদের মতানৈক্য নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ফরহাদ হোসেন বলেন, কয়টি ঘটনা ঘটেছে সেটা দেখা দরকার। বরিশালে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। করোনার মধ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। অত্যন্ত আন্তরিকভাবে জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তারা কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা বেশি জনমুখী হয়েছি। দুই-এক জায়গায় যে ঘটনা ঘটেছে তদন্ত করে বিষয়গুলো বোঝার চেষ্টা করছি।
দুর্ব্যবহার দুর্নীতির শামিল উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা কখনো করা যাবে না। হাসি মুখের মানসিকতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আইনের মধ্যে থেকে সাধ্যমতো সেবা দেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। কর্মকর্তারা যাতে এটি মেনে চলেন।
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কীভাবে কাজ করতে হবে, সে বিষয়ে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনাগুলো তুলে ধরে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার নির্দেশনা ছিল—যারা সেবা নিতে আসেন তাদের দিকে তাকাও, তারা তোমার বাবার মতো, ভাইয়ের মতো, আত্মীয়ের মত। সেবা নিতে আসে জনগণ। তাদের টাকায় তোমাদের বেতন হয়। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা আমরা বাস্তবায়ন করতে চাই। বিভাগীয় কমিশনার থেকে মাঠ প্রশাসনকে আমরা সেই নির্দেশনা দেই। জনগণের সঙ্গে মিশে যেতে হবে। সে ক্ষেত্রে এখানে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না।
ban/N