আব্দুল্লাহ আল মামুন, পার্বতীপুর(দিনাজপুর)প্রতিনিধি: পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি এলাকার ক্ষতিগ্রস্থরা ৮ দফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে জীবন, পরিবেশ ও সম্পদ রক্ষা কমিটির আয়োজনে ২১ নভেম্বর সোমবার বেলা ১১টায় বড়পুকুরিয়া বাজার সড়কে মানববন্ধন করে। এতে ৮ টি গ্রামের প্রায় ৪ হাজারেরও বেশি নারী-পুরুষ কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করে।
মানববন্ধনে সংগঠনের আহবায়ক এম মশিউর রহমান বুলবুল বলেন, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ভূ-গর্ভ থেকে কয়লা উত্তোলনের ফলে খনি পার্শ্ববর্তী এলাকার কৃষি ভূমি দেবে গিয়ে জলাশয়ের সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে অধিগ্রহনকৃত এলাকা ছাড়াও নতুন করে খনি পার্শ্ববর্তী বাঁশপুকুর, কাজিপাড়া, বৈদ্যনাথপুর (আংশিক), শিবকৃষ্ণপুর, পাতরা পাড়া, পাতিগ্রাম (আংশিক), বৈগ্রাম, কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের মানুষ হুমকীর মুখে পড়েছে। তাদের বাড়ী ঘরে ধরেছে ফাটল। টিউবওয়েল গুলোতে উঠছেনা পানি।
ফাটল ধরেছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টান গুলোতে ফলে শিক্ষার্থীরা ঝুকি নিয়ে ক্লাস করছে । রাস্তাঘাট দেবে যাওয়ায় বর্ষাকালে চলাচল করা যায় না । পূর্বের অধিগ্রহনকৃত জায়গা থেকে ৪শ’ পরিবারকে উচ্ছেদ করে মাইনিংসিটি নামে আবাসন প্রকল্প গড়ে তোলা হলেও সেখানে মসজিদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ঈদগাহ মাঠ এমনকি কবরস্থানের সুবিধা রাখা হয়নি। অথচ খনিতে কর্মরত ১৫০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী কয়লা বিক্রির লাভের অংশ থেকে বছরে প্রায় ২০ কোটি টাকা প্রফিট বোনাজ ভাগ করে নিলেও অত্র ইউনিয়নে রয়েলিটি, হোল্ডিংসহ কোন ট্যাক্স প্রদান করেন না। তিনি অবিলম্বে ক্ষতিগ্রস্তদের ৮ দফা দাবি মেনে নিয়ে ক্ষতিপুরন প্রদানের দাবি জানান। ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাবাসীর সাথে খনি কর্তৃপক্ষের চুক্তি অনুযায়ী স্থানীয় বেকারদের খনিতে চাকুরী দেওয়ার কথা থাকলেও বহিরাগতদের চাকুরী প্রদান করা হচ্ছে। ৮ দফা দাবী পূরণ না হলে বৃহত্ত আন্দোলনের হুমকী দেন তারা। পরে দুপুরে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি’র) কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন আন্দোলনকারীরা।
এছাড়াও উক্ত মানব বন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সদস্য সচীব সাইফুল ইসলাম, খনি শ্রমিক নেতা রবিউল ইসলাম, বড়পুকুরিয়া স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল কাদের, ইউপি চেয়ারম্যান সাদিকুল ইসলাম, আলহাজ্ব লিয়াকত আলী, সোলায়মান সামি ও বেলাল হোসেন প্রমুখ।
এব্যপারে মুঠোফোনে একাধিকবার বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এসএমএন প্রকৌশলী আওরঙ্গজেবের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।