ডেস্ক রিপোর্টঃ ১৯৯৪ সালে পাবনার ঈশ্বরদীতে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা ও আওয়ামীলীগ সভানেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনে গুলি-বোমা হামলা মামলায় ২৮ আসামীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন পাবনার আদালত।
রবিবার (৩০ জুন) দুপুরে জনাকীর্ণ আদালতে পাবনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রুস্তম আলী এ নির্দেশ দেন। এ মামলায় মোট আসামী ছিলেন ৫২ জন। বাকিদের নামে ওয়ারেন্ট জারি করেছেন আদালত।
আদালত সুত্র থেকে জানা যায়, ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর আওয়ামীলীগ সভানেত্রী ও তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা সাংগঠনিক সফরে খুলনা থেকে রাজশাহী অভিমুখে ট্রেনযোগে বের হন। দলীয় সুত্র জানায়, পথিমধ্যে তিনি বিভিন্ন স্থানে পথসভা করেন। ঈশ^রদী স্টেশনে তার একটি নির্ধারিত পথসভা ছিল। তাকে বহনকারী ট্রেনটি পাকশী স্টেশনে পৌঁছার পরপরই ওই ট্রেনে ব্যাপক গুলিবর্ষণ ও বোমা হামলা চালানো হয়।
এ ঘটনায় ঈশ^রদী জিআরপি থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বাদি হয়ে ওইদিনই একটি মামলা দায়ের করেন। ৩ বছর পর ১৯৯৭ সালে ৩ এপ্রিল পুলিশ মোট ৫২ জনের নামে এ মামলার চার্জশিট দাখিল করে।
পাবনা জজকোর্টের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) ওবায়দুল হক জানান, মামলার ৫২ জন আসামীর মধ্যে ৩০ জন স্বশরীরে এজলাসে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করেন। বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং বাকি আসামীদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করেন। আগামীকাল সোমবার একই আদালতে উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করার কথা রয়েছে। পরে আসামীদের পাবনা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
আসামীরা ঈশ্বরদী উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী বলে জানা গেছে। ৫২ আসামীর মধ্যে ৬ জন মারা গেছেন।
আদালত সূত্র জানিয়েছে, সোমবার থেকে যুক্তিতর্ক শুরু হবে, যুক্তিতর্ক শেষ হলে চাঞ্চল্যকর এই মামলার রায় ঘোষণা করা হবে।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবি ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আক্তারুজ্জামান মুক্তা ও অ্যাডভোকেট সালমা আহমেদ শিলু। আসামী পক্ষে আইনজীবি ছিলেন অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম গ্যাদা।
পিবিএ/এসআর/হক