কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে টানা পাঁচদিন দেশে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ ছিল। অবশেষে মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) রাতে সীমিত পরিসরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু করা হয়েছে। তবে সেটাও ঢালাওভাবে নয়।
ছোট ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাসা-বাড়িতে এখনো ইন্টারনেট সেবা চালু হয়নি। বুধবার (২৪ জুলাই) রাতের মধ্যেই বাসা-বাড়িসহ সব জায়গায় ওয়াইফাই ইন্টারনেট সেবা স্বাভাবিক হতে পারে বলে জানিয়েছেন ইন্টারনেট সেবাদাতা সংগঠনের নেতারা।
বিটিআরসি জানিয়েছে, সরকারি হাসপাতাল, কমার্শিয়াল এলাকা, গণমাধ্যমের অফিস, রেলওয়ে, তথ্যপ্রযুক্তি খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রথমে ইন্টারনেট সেবা সচল করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে নিরবচ্ছিন্নভাবে সব ধরনের ইন্টারনেট সেবা দিতে কাজ করছে সরকার।
এদিকে, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বাসা-বাড়িতে এখনো ইন্টারনেট সেবা মিলছে না। কোথাও কোথাও চালু হলেও তাতে ধীরগতি। আবার কোথাও ইন্টারনেট সংযোগ কিছুক্ষণের জন্য এলেও পরক্ষণে মিলছে না। এমন পরিস্থিতিতে কখন বাসা-বাড়িতে ওয়াইফাই ইন্টারনেট চালু হবে তা জানতে উদগ্রীব গ্রাহকরা। তারা নিজ নিজ ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) প্রতিষ্ঠানকে দফায় দফায় কল করছেন।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, আমাদের আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করছে। দ্রুত সব জায়গায় ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। আজ রাতের মধ্যেই বাসা-বাড়িতে ওয়াইফাই সংযোগ স্বাভাবিক হতে পারে।
অন্যদিকে মোবাইল ইন্টারনেট শিগগির চালু করার ইঙ্গিত দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। মঙ্গলবার রাতে বিটিআরসির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে জানান, প্রথমে সরকারি হাসপাতাল, ওয়াসা, ডেসকো এবং ব্যাংকগুলোতে ইন্টারনেট সেবা চালু করা হয়। এরপর জাতীয় প্রেস ক্লাব, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, বিভিন্ন গণমাধ্যমের অফিস, বাণিজ্যিক এলাকা, বাংলাদেশ রেলওয়ে, তথ্যপ্রযুক্তি খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোতে ইন্টারনেট দেওয়া হয়।
মোবাইল ইন্টারনেট চালুর বিষয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘বুধবার (২৪ জুলাই) মোবাইল ইন্টারনেটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠক হতে পারে। বৈঠকে সার্বিক পরিস্থিতি আলোচনা করে এ নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। আমরা ধীরে ধীরে ইন্টারনেট সেবার আওতাধীন এলাকার পরিধি বাড়াবো। শিগগির সার্বিকভাবে পুরো ইন্টারনেট সেবা চালু হবে।’
Jag/N