স্টাফ রিপোর্টারঃ বিডি নীয়ালা নিউজে ২৮ আগষ্ট প্রকাশিত নীলফামারীর ডোমার উপজেলা বিএনপি সভাপতির ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, চাঁদাবাজি থেকে বাঁচতে বিএনপির মহাসচিব বরাবর আবেদন শিরোনামে সংবাদটি প্রতিপক্ষরা রাজনৈতিক ভাবে হেও প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন উদ্দেশ্য প্রণোদিত সাজানো তথ্য দিয়ে একটি সম্পূর্ণ মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে আমাকে সমাজে এবং রাজনৈতিক ভাবে হেও প্রতিপন্ন করা হয়েছে।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর ডোমার উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কোন সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি। কেন্দ্রীয় নেতাদের দিক নির্দেশনায় দিনরাত উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিশেষ করে সনাতন ধর্মাবলীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোজ খবর নিয়েছি ও কোন প্রকার সহিংসতা যেন না হয় সেদিকে স্থানীয়ভাবে সোজা থাকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এই অঞ্চলের হিন্দু ও মুসলিমরা একত্রে শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করে আসছে। এ নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সনাতন ধর্মাবলীদের নিয়ে শান্তি মিটিং করা হয়েছে। যা জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। উল্লেখ্য এস এম আব্দুল্লাহ প্রায় ২৭ বছর আগে আওয়ামী লীগের হাত ধরে ঢাকা থেকে নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার ভোগডাবুরী ইউনিয়নের কাঠালতুলী এলাকায় আস্তানা গড়ে তোলে। সেই আস্থানাটি আওয়ামী লীগের দুর্গ ঘড় হিসাবে ব্যবহার হয়ে আসছিল। সেখানে রাজনৈতিক আলাপ আলোচনার পাশাপাশি ও সামাজিক কার্যকলাপ ঘটেছিল। তিনি প্রভাব খাটিয়ে ওই এলাকার অনেক অসহায় মানুষের জমি জবরদখল করে অনেককে ভিটা ছাড়া করে। বিগত আওয়ামী লীগের দুঃশাসন আমলে এস এম আব্দুল্লাহর ওই আস্থানায় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি, নীলফামারী-২ আসনের এমপি আসাদুজ্জামান নূর, নীলফামারী ১ আসনের এমপি আফতাব উদ্দিন সরকার সহ স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাদের প্রতি মাসে আসর বসে। প্রায় ৩ স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগদের বিভিন্ন ধরনের আড্ডার আসর জমি। ওই আসর থেকে বিএনপি ও জামাতের নেতাকর্মীদের কোণঠাসা করে রাখার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হতো। এস এম আব্দুল্লাহ আওয়ামী লীগের নেতার পাশাপাশি প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে তার আস্তানার আশেপাশের নিরীহ লোকজনদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন দেখিয়ে জমি ও সম্পদ জবরদখল করার স্থানীয়দের কাছে অনেক অভিযোগ রয়েছে। কেউ প্রতিবাদ করলে মামলা হামলার ভয় ভীতি প্রদর্শন করায় কেউ সহজেই তার প্রতিবাদ করার সাহস পায়নী। পট পরিবর্তনের পর আওয়ামী লীগের নেতারা গা ঢাকা দেওয়ায় তিনি নিজেও নিজেকে টিকে রাখার জন্য শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে।
নিঃস্বার্থ হাজির করার জন্য এস এম আব্দুল্লাহ ক্ষমতার প্রভাব ফাটিয়ে ছাত্রলীগ দিয়ে দেবীগঞ্জ সাব রেজিস্ট্রি অফিস থেকে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেখিয়ে দেবিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুজ্জামানের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে আটকে রেখে নির্যাতন চালায়। উপরোক্ত ঘটনা গুলি ওই এলাকার আশপাশের লোকজনের কাছে জিজ্ঞাসা করলে দলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে। বর্তমানে তিনি তার আস্থা নাই তার ছেলেকে রেখে তিনি গা ঢাকা দিয়ে আছে। আমি সহ শত শত এলাকাবাসীর দাবি বিএনপি’র কর্ণধার এবং বর্তমান সরকার ও প্রশাসনের কাছে আকুল আবেদন উক্ত ঘটনা গুলি সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। রেয়াজুল ইসলাম কালু চেয়ারম্যান ভোগডাবুডী ইউনিয়ন পরিষদ ও সভাপতি ডোমার উপজেলা বিএনপি